শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায়

এমপি রানা দুই দিনের রিমান্ডে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় এমপি রানাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মাসুম এই আবেদন মঞ্জুর করেন।

যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ এমপি রানাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়। পরে তার উপস্থিতিতেই এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম। আসামি পক্ষের রিমান্ড নামঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাকী মিয়াসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আমানুর রহমান রানা আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে আমাকে হয়রানি করার জন্য পুলিশ অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিজ্ঞ আদালত ন্যায়বিচারের প্রতীক। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। এ মামলায় গ্রেফতার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরন মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন এমপি রানার দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। অপরদিকে ঘাটাইল জিবিজি কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম ঘাটাইল আমলি আদালতে আমানুরকে গ্রেফতার দেখানোর অপর আবেদনটি করেন। পরে আদালতের বিচারক ১০ মে আবেদনের শুনানির জন্য ধার্য করেছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার বিচারক এ মামলায় সাংসদকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন। পরে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা এ মামলায় জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

সর্বশেষ খবর