সোমবার, ২১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বায়তুল মোকাররমে অনন্য ইফতার

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

বায়তুল মোকাররমে অনন্য ইফতার

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এ বছর প্রতিদিন চার হাজার রোজাদারকে ইফতার করাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। কে গরিব আর কে ধনী, কে শ্রমিক আর কে মালিক বোঝার কোনো উপায় নেই। দিনমজুর থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিশু, বৃদ্ধ, ছিন্নমূল, প্রতিবন্ধীসহ সবশ্রেণির মানুষের ইফতারের মধ্যদিয়ে সাম্যের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত ফুটে উঠছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব অংশে। সৃষ্টি হচ্ছে অন্য রকম এক আবহ। অস্থায়ী মঞ্চ থেকে ভেসে আসে সুমধুর তিলাওয়াত ও হামদ-নাতের সুর। গত শনিবার এমন দৃশ্যই দেখা গেছে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। চলবে পুরো রমজান মাসজুড়ে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিপুল পরিমাণ ইফতার সরবরাহ করে থাকেন। ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ইফতারের জন্য তাদের প্রায় ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন চার হাজার রোজাদারের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রায় এক যুগ ধরে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতি বছরই রোজাদারদের সংখ্যা বাড়ছে। রমজানের প্রথম দিনে সাড়ে চার হাজারের মতো মুসল্লি ইফতারে অংশ নিয়েছে। তিনি বলেন, ইফতারের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদে রোজাদারদের সম্মিলনে এক অনন্য ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এখানে থাকে না সামাজিক মর্যাদার কোনো ভেদাভেদ। গত শনিবার ইফতারির সময় বায়তুল মোকাররমে দেখা যায়, মসজিদের পূর্ব অংশে হাজারো মুসল্লি সারি বেঁধে ইফতারের জন্য বসেছেন। এক পাশ থেকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা ইফতারি বণ্টন করছেন। পাশের অস্থায়ী মঞ্চে চলছে ইফতারি-পূর্ব কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত পাঠ। অবশ্য আসরের নামাজের পর থেকেই এখানে শুরু হয় ইফতারির আয়োজন। মসজিদের উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব তিন প্রান্তেই মাগরিবের নামাজের আগ পর্যন্ত চলতে থাকে এ প্রস্তুতি। ইফতার আইটেমে থাকছে জিলাপি, শরবত, খেজুর, রকমারি ফল, ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু, বেগুনি ও কলা। স্বেচ্ছাসেবকরা এসব ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ কেজি মুড়ি, ১০০ থেকে ১১০ কেজি ছোলা, ১২০ কেজি পিয়াজু, ৬০ কেজি বেগুনি, ১০০ কেজি খেজুর, ৮০ থেকে ১০০ কেজি জিলাপি, ৪০ থেকে ৫০ কেজি চিনি, ৫০ বোতল রুহ আফজা, তিন হাজার কলা বা সমপরিমাণ অন্য কোনো ফলের ব্যবস্থা থাকছে। গ্লাসে শরবত পরিবেশন করা হয়।

সর্বশেষ খবর