শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে দাম এখনো চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে দাম এখনো চড়া। বাজার করতে গিয়ে অসহায় সাধারণ ক্রেতা। বাজার মনিটরিং জোরদার না হওয়ায় পণ্যে কেনাবেচা হচ্ছে চড়া দামে।  গতকালও প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকায়। এসবের পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, কক (পাকিস্তানি) ২৮০ টাকা ও ফার্মের ব্রয়লার ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রমজানকে কেন্দ্র করে চিনি, পিয়াজ, রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর পল্লবীর বিহারি ও বারিধারা বাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, রমজান মাসে পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে চিনির দর কেজি প্রতি ৫ টাকা, পিয়াজ ৮-১০ টাকা, রসুন ২০ টাকা ও আদার দর ২০ টাকা বেড়েছে। এসবের পাশাপাশি লবণের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বাজারে ক্রেতাদের অস্বস্তি  বেড়েছে।  গতকাল বারিধারা কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভারতীয় পিয়াজ কেজিপ্রতি ২৮-৩০ টাকা,  দেশি  পিয়াজ ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। পল্লবী বিহারি বাজারে রসুন ও আদার দর কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া বাজারের খুচরা দোকানে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। তিন দিন আগেও ১০০ টাকা ছিল। অন্যদিকে ৬০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারে আদার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। খোলা বাজারে ২০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনলে সঙ্গে ২ লিটার বিনা মূল্যে দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। এতে একটি কোম্পানির তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দর পড়ছে ৪৮৩ টাকায়, মোড়কে লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৫৪০ টাকা। আরেকটি কোম্পানির তেলের খুচরা দাম ৫৫০ টাকা। যা খুচরা বিক্রেতারা কিনতে পারেন ৫০৭ টাকায়। এতে পাঁচ লিটারের একটি বোতলে ৪৩ থেকে ৫৭ টাকা মুনাফার সুযোগ পাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। লবণ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, তারা এখন প্রতি কেজি লবণ কোম্পানিভেদে ২৬-২৭ টাকা দরে বিক্রি করছেন। যদিও লবণের খুচরা দাম ৩৬-৩৮ টাকা। এ বাজারের কয়েকটি দোকানে ভালোমানের ছোলা ৭৮ খেকে ৮০ টাকা কেজি চাইছেন বিক্রেতারা। কামাল স্টোরে একই ছোলা ৭৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দোকানটির বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতি কেজি ৭২ টাকায় কিনে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি করছি।  পল্লবী বিহারি ও বারিধারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ২০, করলা ৬০, ধুন্দল ৪০, ঢেঁড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো ৪০, ঝিঙ্গা ৫০, লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। ধনেপাতা প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা, পুদিনাপাতা ২০ টাকা। বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বাজার করতে আনা ত্রেতাদের আগ্রহ কম ছিল মাছের প্রতি। গতকাল শিং এক কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, কাতলা, ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া কাঁচকি-৩০০ টাকায়, মলা ২৮০ টাকা, ইলিশ ৫০০-৬০০ গ্রাম ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ৭০০ টাকায়, চিংড়ি মান ও আকার ভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর