সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিক্ষায় ২০ শতাংশ বরাদ্দ দাবি

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রেখে শিক্ষাবাজেট ২০১৮-১৯ প্রস্তাবের দাবি জানিয়েছে শিক্ষাবিস্তারে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটেরিয়াতে ‘শিক্ষাবাজেট ২০১৮-১৯ প্রস্তাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এই দাবি জানায়। মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস-এর আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ আরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। সভায় অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, ‘শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ বিষয়ে আমরা সবাই একমত। কতটা বরাদ্দ বাড়ানো উচিত বা কতটা বাড়ানো সম্ভব এ সম্পর্কে এই বাজেট প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের আগে দেখা দরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বাড়িয়ে কোন কোন জায়গায় বিশেষভাবে বরাদ্দ দেওয়া দরকার।’ আমাদের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যসূচি, পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তকে মৌলিক পরিবর্তন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টেক্সটবুক বোর্ড যে পাঠ্যসূচি, পাঠ্যক্রম এবং পাঠ্যপুস্তক তৈরি করে, এগুলোর সংস্কারের জন্যে অনেক টাকা দরকার এবং সে টাকা যদি সরকার বরাদ্দ দেয়, তবে উন্নতির দিকে যেতে পারব আমরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা মাধ্যমে যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা, এটাকে আমরা মূলধারা মনে করি। ইংরেজি মাধ্যম প্রবর্তন করে এটাকে বিভাজিত করে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় আমাদের বিবেচনা করতে হবে, বাংলামাধ্যমে শিক্ষার উন্নতির জন্যে, শিক্ষকদের উন্নতির জন্যে এবং ছাত্রবৃদ্ধির জন্যে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। ইংরেজি মাধ্যম নিয়ে সরকার অনেক মনোযোগী, সেখানে ব্যয় বাড়ানোর কথা আমরা বলব না। সেখানে ব্যয় বাড়ানোর দরকার নেই।’ অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘গবেষণার জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। গবেষণার মধ্য দিয়েই নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ গবেষণা করা। কিন্তু সেইখানে রাষ্ট্র বরাদ্দ দিচ্ছে না। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডাওমেন্ট ফান্ড বাংলাদেশের এক বছরের বাজেটের চাইতেও বেশি। শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের কারণেই তারা আজ এগিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, আমরা যদি গণতান্ত্রিক, জঙ্গিবাদমুক্ত, মানবিক মূল্যবোধ, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ চাই, সেই ক্ষেত্রে শিক্ষা আমাদের প্রধান হাতিয়ার। সেই কারণে কমপক্ষে ২০ শতাংশ বরাদ্দ শিক্ষা খাতে দিতেই হবে। একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণে এর চেয়ে বড় বিনিয়োগ আর হয় না।

সর্বশেষ খবর