সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
ই-হজ ভিসা প্রক্রিয়া শুরু

প্রথম ফ্লাইট ১৪ জুলাই

মোস্তফা কাজল

শুরু হলো চলতি বছরের (২০১৮) পবিত্র হজ গমনেচ্ছুদের ই-ভিসা প্রক্রিয়া। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ১৪ জুলাইয়ের হজ ফ্লাইটের ভিসার জন্য পাসপোর্ট ও কাগজপত্র ঢাকার সৌদি আরবের দূতাবাসে জমা হয়েছে। অতীতে রমজান মাস শেষে ঈদের পরপর এসব কাজ শুরু হতো। তবে এবার রোজার শুরুতেই এসব কার্যক্রম শুরু হলো। মক্কায় পবিত্র হজ গমনেচ্ছুদের ফ্লাইট পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি বছরের ১৪ জুলাই থেকেই শুরু হবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পবিত্র হজের যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত করেছে। এবার ৭৭৪টি হজ এজেন্সি হজ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। এজেন্সিগুলোর যারা ভালোমানের সেবা দেবে এবার তাদের পুরস্কৃত করবে সরকার। সৌদি আরব সরকার গত বছর (২০১৭ সালে) থেকে হজযাত্রীদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে। এই ভিসা পাসপোর্টের সঙ্গে লাগানো থাকবে না। আলাদা কাগজে প্রিন্ট করে দেবে। ফলে হজযাত্রীদের এটি আলাদা সংরক্ষণ করতে হবে। আগে পাসপোর্টের সঙ্গে ভিসা লাগানো থাকত বলে আলাদা করে ভিসা সংরক্ষণের প্রয়োজন হতো না। এবারও ই-ভিসা ও পাসপোর্ট বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাউন্টারে দেখাতে হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল মারার পর তা যত্ন করে রাখতে হবে। আবার হজ পালন শেষে দেশে ফেরার সময় ওই ই-ভিসার কাগজ এয়ারপোর্ট ও ইমিগ্রেশনে দেখাতে হবে। এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাজাহান কামাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,  কোনো রকম ভোগান্তি যাতে না হয়, তাই এবার আগে-আগেই সব কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিমান সংকট নিরসনে হজযাত্রী পরিবহনে দুটি উড়োজাহাজ লিজে আনা হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার জন। হজের ওয়েবসাইটে  হজযাত্রী অনুসন্ধান বাটনে ১০ সংখ্যার ট্র্যাকিং নম্বর অথবা পাসপোর্ট নম্বর লিখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ভিসাসহ অন্যান্য তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে সেখানে দেখা যাবে ব্যক্তির দলভুক্ত কারা আছেন। এসব তথ্য দেখলে ব্যক্তি বুঝতে পারবেন তার ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে এজেন্সির দেওয়া তথ্যের মিল আছে কিনা। এবার নির্দিষ্ট আকার ও জাতীয় পতাকাখচিত পলিব্যাগ ও কিটব্যাগ হজযাত্রীদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় কিনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি যে ব্যবস্থাপনায়ই নিবন্ধন করুন না কেন হজযাত্রীদের কিছু করণীয় থাকে, সেগুলো ঠিকঠাক মতো করতে হবে। তা হলো ব্যক্তির নিবন্ধন সনদ সংরক্ষণ। পিলগ্রিম আইডি নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা। ভিসা নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। বিমান টিকিট ও ফ্লাইটের তারিখ নিশ্চিত করার জন্য হজ এজেন্সির সঙ্গে  যোগাযোগ রাখা। নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যেই মেডিকেল  চেকআপ এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নেওয়া।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর