শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

বৈচিত্র্যময় নকশা ও আরাম খুঁজছেন ক্রেতারা

জিন্নাতুন নূর

বৈচিত্র্যময় নকশা ও আরাম খুঁজছেন ক্রেতারা

এবার ঈদবাজারে ক্রেতারা আরামদায়ক পোশাক ও ব্যতিক্রমী নকশাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। কারণ, এবার আবহাওয়ার খেয়ালি মেজাজের জন্য কখনো একটানা বৃষ্টি ঝরছে তো কখনো আবার উঠছে কাঠফাটা রোদ। ভ্যাপসা গরম তো আছেই। এ অবস্থায় ক্রেতারা ঈদে পরার জন্য আরামদায়ক কাপড়ের পোশাক খুঁজছেন। তবে একইসঙ্গে মেয়েদের পোশাকে কটি স্টাইল, এথনিক ডিজাইন ও কামিজের কাটের বৈচিত্র্য থাকছে। বিশেষ করে বেল স্লিভ হাতার কামিজের প্রতিই এবার মেয়েদের ঝোঁক বেশি। আর ছেলেদের পাঞ্জাবিতে হালকা রং ও নকশার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ ডিজাইন এবং পাঞ্জাবির গলায় ভারি কাজের আধিক্য দেখা যচ্ছে। নগরীর কয়েকটি বুটিক হাউস ও দেশি ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা যায়, তরুণ-তরুণীরা সুতি, লিনেন, জর্জেট, এন্ডি, এন্ডি সিল্ক, ভয়েল ও মসলিন কাপড়ের তৈরি সাদা, লেমন, গোলাপি ও বেগুনির মতো হালকা মিষ্টি ও উজ্বল রঙের পোশাক বেশি খুঁজছেন। দেশি ফ্যাশন হাউস আড়ং এই ঈদে তরুণী ও নারীদের জন্য তাদের তৈরি পোশাকগুলোয় বরাবরের মতোই বৈচিত্র্য রেখেছে। বিশেষ করে সালোয়ার-কামিজ ও শাড়িতে আড়ং এবার প্রিন্টের ফুলেল নকশা ও নকশিকাঁথার প্রাধান্য দিয়েছে। সালোয়ার-কামিজে কটি ও কামিজের হাতায় বেল স্লিভের ব্যবহার লক্ষণীয়। সাধারণ সালোয়ার-কামিজে সুতি এবং সিল্কের এক্সক্লুসিভ সালোয়ার-কামিজে এমব্রয়ডারি ও ব্রাশ পেইন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া কামিজে এবার নকশিকাঁথার এমব্রয়ডারির সঙ্গে জিওমেটিক মোটিফের ব্যবহারও করা হয়েছে। মিরপুর ১২ নম্বরে আড়ংয়ের বিক্রয়কর্মীরা জানান, তাদের সালোয়ার-কামিজের মূল্য আড়াই হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা। আর ছেলেদের জন্য সাধারণ পাঞ্জাবির পাশাপাশি আরও আনা হয়েছে স্লিম ফিটের সুতি ও সিল্কের পাঞ্জাবি। একটু জমকালো পাঞ্জাবি যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য আড়ং জয়শ্রী সিল্কের ওপর গলায় এমব্রয়ডারি কাজের পাঞ্জাবি এনেছে। সুতির কিছু পাঞ্জাবিতে আবার গলায় এরি এমব্রয়ডারিও ব্যবহার করা হয়েছে। আড়ংয়ের পাঞ্জাবির দাম আড়াই হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা। দেশি বুটিক হাউস কে-ক্রাফট ঈদের জন্য ছেলে ও মেয়েদের পোশাকে সুতি, লিনেন, সিল্ক ও এন্ডি সিল্ক ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া মেয়েদের পোশাকে এমব্রয়ডারি, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি ও ভয়েল প্রিন্টের ব্যবহার করা হয়েছে। যমুনা ফিউচার পার্কে কে-ক্রাফটের বিক্রয়কর্মীরা জানান, তাদের সালোয়ার-কামিজের দাম তিন হাজার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। এ ছাড়া ঈদে নারীদের জন্য কে-ক্রাফট সুতি, মসলিন সিল্কের শাড়িতে কারচুপি, ট্যাসেল ও প্রিন্টের ফুলেল কাজ করেছে। কে-ক্রাফটের শাড়ির দাম চার হাজার থেকে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা। তরুণ-তরুণীদের ব্র্যান্ড ফ্যাশন হাউস লা-রিভ ঈদের জন্য ‘ইউনিক, বোল্ড ও ইনডিভিজুয়ালিস্টিক’ শিরোনামে ঈদের বিশাল সংগ্রহ এনেছে। ব্র্যান্ডটি মেয়েদের জন্য টিউনিক ও সালোয়ার-কামিজ এনেছে। এথনিক নকশার তৈরি সালোয়ার-কামিজে হালকা রঙের ব্যবহার করেছে লা-রিভ। এ ছাড়া কামিজের ওপর কটি, হাতায় বেল স্লিভ এবং পুরো পোশাকজুড়ে ফুলেল প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারির কাজ ব্যবহূত হয়েছে। লা-রিভের সালোয়ার-কামিজের দাম দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা। আর কিশোরী ও তরুণীদের জন্য টিউনিকগুলো দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের জন্য আনা লা-রিভের পাঞ্জাবিতে হালকা রং ও নকশার প্রাধান্য দেখা যায়। এ ছাড়া ঈদের জন্য ছেলেদের এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবিতে কারচুপিও ব্যবহার করা হয়েছে। লা-রিভের পাঞ্জাবি আড়াই হাজার থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর