পদ্মা সেতু প্রকল্পে অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ ছাড়া একনেকের সভায় আরও ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। গতকাল এনইসি ভবনে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, একনেক সভায় ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ১৫ প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হচ্ছে পদ্মা সেতুর অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। এ বিষয়ে তিনি জানান, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ১৬২ দশমিক ৬৭ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকায় আগামীতে যেসব রাস্তা তৈরি হবে সেগুলো এলিভেটেড করতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী একনেকে নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে নিচ দিয়ে  নৌকা বা সাম্পান চলতে পারে। ওপর দিয়ে রাস্তা থাকবে। তাহলে আলাদা করে ব্রিজ করতে হবে না। এক খরচেই সব কাজ হবে। এদিকে নাগরিকদের হাতে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট তুলে দিতে ‘বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৩৫.৯১ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি থেকে ব্যয় হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর প্রকল্পটি এ বছরের জুনে বাস্তবায়ন শুরু করে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে শেষ করবে।  একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে— পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্প, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প, দেশব্যাপী ডিজিটাল টেরিস্ট্রিয়াল সম্প্রচার প্রবর্তন প্রকল্প, ২১টি জেলার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও শিশুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা প্রদান প্রকল্প।