মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
হলফনামার যত কথা

বুলবুলের ৭ গুণ আয়, লিটনের সম্পদ বেড়েছে

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

বুলবুলের ৭ গুণ আয়, লিটনের সম্পদ বেড়েছে

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের পেশা থেকে কোনো আয় না থাকলেও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ। একইভাবে মেয়র থাকার সময় সাত গুণ আয় বেড়েছে বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের।

নির্বাচন কমিশনে হলফনামায় দেওয়া হয়েছে এসব তথ্য। এতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লিটনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস। পেশায় আইনজীবী হলেও এ খাত থেকে কোনো আয় নেই। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামেই জমা আছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, যা ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনের সময় ছিল মাত্র ৫৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ও নির্ভরশীলদের নামে ২৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা আছে। স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ও কন্যাদের নামে ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ আছে। মেয়র থাকাকালে নিজের নামে মাত্র ২ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি ছিল। তবে এখন আছে ৩৬ লাখ টাকার গাড়ি। ২০১৩ সালে স্ত্রীর কোনো স্বর্ণ না থাকলেও এখন হয়েছে ৫০ ভরি। এ ছাড়া কন্যাদেরও আছে ২১ ভরি স্বর্ণ। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সম্পদ আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে যে হারে তা স্বাভাবিক। ঢাকার বাড়ি ভাড়া, এ ছাড়া ব্যবসার আয় বেড়েছে। আর স্ত্রী ও কন্যাদের জন্য যেসব স্বর্ণ আছে, সেগুলো নানা সময়ে উপহার পাওয়া। অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পেশা ব্যবসায়। ২০১৩ সালে নির্বাচনের সময় তার ছিল নগদ ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। তবে গেল পাঁচ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ৪২ লাখ ৩০ হাজার। স্ত্রীর নামে আছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা। যদিও মাছ চাষ করে বছরে তার আয় মাত্র ৬ লাখ টাকা। বুলবুলের নিজের আছে ২৫ ভরি স্বর্ণ; যা স্ত্রীর চেয়েও বেশি। স্ত্রীর আছে ২০ ভরি। তবে নিজের কোনো বাড়ি নেই। তার নামে হত্যাসহ ১২টি মামলাও আছে। বুলবুল জানান, তার নামে যেসব মামলা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।

আর আয়ের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ করা আছে— দায়িত্বে থাকাকালে আয় বেড়েছে ২৪ লাখ টাকার বেশি; যা সম্মানি বাবদ।

এই দুই প্রার্থীর বাইরে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ওয়াশিউর রহমান দোলনের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক। পেশায় ঠিকাদার হলেও তার আয়ের উৎস কৃষি খাত ও বাড়িভাড়া। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী শফিকুল ইসলামের মনিহারির দোকান আছে। তার বছরে আয় ২ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর