মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

এগিয়ে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বিমানবন্দর থেকে মগবাজার পর্যন্ত খুলে দেওয়া হবে ২০২০ সালেই

নিজামুল হক বিপুল

এগিয়ে চলছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

বহুল প্রত্যাশিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের সার্বিক কাজের ১৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম অংশের কাজ হয়েছে ৩৫ শতাংশ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশ বিমানবন্দর থেকে মগবাজার পর্যন্ত যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে দিনরাত কাজ চলছে বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে গতিতে কাজ চলছে তাতে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে উত্তর-দক্ষিণে ঢাকা শহরের যানজট অন্তত ৩০ শতাংশ কমে যাবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালসড়ক নির্মাণ করছে সরকার; যার মধ্যে ২০ কিলোমিটার হচ্ছে মূল সড়ক। বাকি ২৬ কিলোমটার উড়ালসড়কে ওঠা ও নামার র‌্যাম্প। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ইটাল-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি। অর্থসংস্থান ও জমি জটিলতায় প্রকল্পের কাজ অনেক দিন থমকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজে গত এপ্রিল থেকে গতি এসেছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদাউস বলেন, ‘এখন এ প্রকল্পের বনানী পর্যন্ত পাইলিং কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কাজের গতি ধরে রেখে আমরা দ্রুততম সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘আশা করছি, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দিতে পারব। বিমানবন্দর থেকে মগবাজার পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের কাজ এ সময়ের মধ্যেই শেষ হবে।’ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন  এলাকায় মূল প্রকল্পের পাইলিং কাজ শুরু হয়ে এখন বনানী পর্যন্ত চলছে। উড়ালসড়কের জন্য মোট সাড়ে ৫ হাজার পাইলিং হবে। এর মধ্যে আশকোনা থেকে বনানী পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের ওপরের অংশে মোট ১ হাজার ২০০ পিলার হবে; যার মধ্যে ১৫০টি পিলার ইতিমধ্যে উঠে গেছে। প্রকল্পের প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত কাজ ৩৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল এক্সপ্রেসওয়ে ও ২৬ কিলোমিটার র‌্যাম্প নির্মাণে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে নির্মাতা কোম্পানি। এর বাইরে ভূমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর সংস্থান করবে বাংলাদেশ সরকার। দ্বিতীয় ধাপে এ প্রকল্পের বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং শেষ পর্যায়ে মগবাজার থেকে কমলাপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হবে। বনানী থেকে কমলাপুর পর্যন্ত উড়ালসড়কটি নির্মাণ হবে রেললাইনের ওপর দিয়ে। প্রকল্প পরিচালক কাজী ফেরদাউস জানান, কমলাপুর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণ হবে অতীশ দীপঙ্কর সড়ক, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওপর দিয়ে। নির্মাণ শেষ হলে চার লেনের এ উড়ালসড়কটি রাজধানীর যানজট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর