মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
জাপানি কোনিও ও খাদেম হত্যা

দুই জঙ্গি এখনো অধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের মধ্যে পলাতক দুজন এখনো অধরাই রয়ে গেছে। এরা হলো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জেএমবির কমান্ডার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪) এবং জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক শাখার সদস্য চান্দু মিয়া (২০)। এ দুই জঙ্গি দেশে কোথাও ঘাপটি মেরে আছে নাকি বিদেশে পালিয়ে গেছে সে ব্যাপারেও পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। অপরাধ বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, তারা দেশেই আছে এবং নতুন করে দল পাকাচ্ছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রংপুরে জঙ্গিরা আর সক্রিয় হতে পারবে না। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গির সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে কিনা সে ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে রিকশায় করে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে ঘাষের খামারে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন ৬৬ বছর বয়সী জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লবসহ পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। আহসান উল্লাহ আনসারী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট এলাকায়। কোনিও খুন হওয়ার পর থেকেই সে পলাতক। অপরদিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরিফের খাদেম ৬০ বছর বয়সী রহমত আলীকে ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ১৮ মার্চ চান্দু মিয়াসহ সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। খাদেম হত্যার পর থেকেই চান্দু মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। চান্দু মিয়ার বাড়ি পীরগাছা উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়া এলাকায়। অপরাধ বিশ্লেষক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, রায় হয়েছে বেশ কিছুদিন হয়। এখন পর্যন্ত পলাতক দুই জঙ্গি গ্রেফতার না হওয়াটা উদ্বেগের বিষয়।

 গত ৬ এপ্রিল জঙ্গি আহসান উল্লাহ আনসারীর সহযোগী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার জেএমবির নারী কমান্ডার সাদিয়া আফরোজ নীনাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে আহসান উল্লাহ আনসারী ও চান্দু মিয়া দেশেই আছে এবং গোপনে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর