সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, স্থানীয় নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী বলতে শুধু বিএনপিরই প্রার্থী হতে হবে এমনটা ঠিক নয়। সিলেট সিটিতে বিএনপির প্রার্থী থেকে জনপ্রিয় জামায়াতের প্রার্থী। তাই আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে অন্তত সিলেট সিটিতে মেয়র পদে জোটের শরিক বিএনপির সমর্থন চায় জামায়াত। আর বিএনপি সমর্থন না দিলে জামায়াত এককভাবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
জানতে চাইলে জামায়াতের প্রার্থী সিলেট মহানগর আমির এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। নির্বাচনী মাঠে পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘সিলেট সিটিতে আমার নির্বাচন করার দলীয় সিদ্ধান্ত অনেক আগের। আমরা জোটগত সমর্থন চেয়েছি। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে গড়িমসি করা হচ্ছে। জোটগত সমর্থন না পেলেও এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেব।’ জামায়াত নেতারা বলছেন, সিলেটে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের যে কোনো উপায়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন। খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপিকে শুধু ছাড়ই দেয়নি জামায়াত; তারা বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোটও চেয়েছেন। রাজশাহী ও বরিশাল সিটিতেও ছাড়ের মনোভাব রয়েছে। সিলেটে মেয়র পদে বিএনপিকে ছাড় দিতে হবে। জামায়াতের দাবি, সিলেটে বিএনপির চেয়ে জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো। বিএনপিতে সেখানে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে। ২০-দলীয় জোট থেকে জামায়াতের প্রার্থী দিলে জয়ের ব্যাপারে তারা আশাবাদী। তাই ২৭ জুন ২০-দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াতের পক্ষ থেকে সিলেট সিটি নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের সমর্থন চাওয়া হয়। জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল হালিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘সিলেটে জামায়াতের মেয়র প্রার্থী দেওয়ার দাবি বিএনপি মহাসচিবকে জানিয়েছি। দেখি তারা কী করেন।’ বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে কিছুটা ভিন্নমত রয়েছে।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ’২০-দলীয় জোটের বৈঠকে জামায়াত ছাড়া সবাই তিন সিটিতেই ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পক্ষে মত দিয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই জামায়াতের সঙ্গে বিষয়টির সুরাহা হবে।’