মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
বসুন্ধরা পেপারের লেনদেন

প্রথম দিনে শেয়ার দর সর্বোচ্চ ১৫৫ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম দিনে শেয়ার দর সর্বোচ্চ ১৫৫ টাকা

পুঁজিবাজারে (ডিএসই ও সিএসই) গতকাল শুরু হয়েছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লি. (বিপিএমএল)-এর লেনদেন। বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেড কোয়ার্টারে কেক কেটে উদযাপন করেন বিপিএমএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান —বাংলাদেশ প্রতিদিন

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হলো বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। গতকাল দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়ে লেনদেন শুরু হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বসুন্ধরা পেপারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষে লিস্টিং বিভাগের প্রধান আবদুল জলিল। এ সময় ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারি, চিফ রেগুরেটরি অফিসার এ কে এম জিয়াউল হাসান খান, বসুন্ধরা পেপার মিলসের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, জিএম আজিজুর রহমান ও এজিএম এম মাজেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একই দিনে সিএসইর সঙ্গে চুক্তি সই করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। লেনদেনের প্রথম দিনে কোম্পানটির শেয়ার দর ৬৩.৫০ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারের প্রারম্ভিক মূল্য ৮০ টাকা হলেও প্রথম দিনে ১৫৫ টাকায় লেনদেন শুরু হয়। দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৩০.৮০ টাকায় স্থির হয়। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, বসুন্ধরা পেপার মিলসের মোট ৬৩ লাখ ৮ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। শেয়ারগুলো ৩৫ হাজার ৪৯৫ বার হাতবদল হয়। এর আগে গত ৩০ মে আবেদনকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটির আইপিওতে ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেন। এক্ষেত্রে কোম্পানির ৭৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা ৬৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকার আবেদন করেছে। এতে চাহিদার ৮.১১ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। বিডিংয়ে বসুন্ধরা পেপার মিলসের কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকা নির্ধারিত হয়। এই দরে কোম্পানি ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আর আইপিওতে ১০ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার ৭২ টাকা দরে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কেনা, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খরচ নির্বাহে কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস। তালিকাভুক্তির চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোম্পানির শেয়ার ৮ গুণ বেশি সাবক্রিপশন হয়। এটাই প্রমাণ হয়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা আছে। আস্থা ধরে রাখতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বসুন্ধরা পেপার মিলসের কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৯৯ সালে। তখন দেখেছি আমাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রয়েছে। আশা করছি বসুন্ধরা পেপারেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা থাকবে। কারণ বসুন্ধরা পেপারের তিনটা বড় ইউনিট রয়েছে। ফলে এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর