ঢাকার সিভিল সার্জনের অফিসে স্বাস্থ্যগত সনদ দেওয়ার সময় বাধ্যতামূলকভাবে ঘুষ আদান-প্রদানের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের হটলাইনে (১০৬) কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তত্ক্ষণাৎ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা দেখতে পান, জনপ্রতি ন্যূনতম ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া ও উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামানের সমন্বয়ে পুলিশসহ ছয় সদস্যের একটি দল আজিমপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, দুদক টিমের জিজ্ঞাসাবাদে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারীরা স্বীকার করেন যে, তারা জনপ্রতি ন্যূনতম ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেন। প্রাায় তিন ঘণ্টার এ অভিযানে কীভাবে ভুক্তভোগীরা হয়রানির শিকার হন, কীভাবে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়, কীভাবে আদায় করা অর্থ বিলি-বণ্টন হয়, তা উদ্ঘটান করেন দুদক কর্মকর্তারা। পরে সিভিল সার্জন অফিসে দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত চাকরিপ্রার্থীদের মাঝে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদক হটলাইনের (১০৬) স্টিকার বিতরণ করা হয়। অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ এ দুর্নীতি চলে আসছিল। গৃহীত জবানবন্দি ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শিগগিরই দুদক দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে গতকালের অভিযানের পর ঘুষ-দুর্নীতির প্রবণতা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাতেনাতে গ্রেফতারের জন্য ট্র্যাপ টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।’