কেউ দেড় বছর, কেউ বা তারও বেশি সময় ধরে আটক ছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে সরকারি ‘শুভায়ন’ হোমে। অবশেষে দীর্ঘ সময় পরে বাংলাদেশে বাবা-মাসহ স্বজনদের কাছে ফিরে গেল ওই হোমে আটক থাকা চার বাংলাদেশি কিশোর।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের হিলি সীমান্ত দিয়ে এ চার কিশোরকে বিজিবির হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। এর আগে হোম থেকে কিশোরদের এসকর্ট করে হিলি সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিলি (ভারত) ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) ওসি শিপ্রা রায়, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আইনি পরিসেবা কর্মকর্তা বিচারপতি সৌমেন্দ্রনাথ রায়, জেলা ‘চাইল্ড লাইন’-এর সেন্টার কোঅর্ডিনেটর সুরজ দাস, ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের (ডিসিপিইউ) সুবোধ দাস, হিলি (বাংলাদেশ) ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) ওসি আখতার হোসেন এবং বিএসএফ ও বিজিবির কর্মকর্তারা। সন্তানদের নিতে সীমান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রতিটি শিশুর অভিভাবকরাও। নিজের দেশে ফিরে যাওয়া চার বাংলাদেশি কিশোর হলো ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পান্থপাড়ার বাসিন্দা মো. শাহ জামাল (১৭), দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার সাহেবপাড়ার বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম (১৩), নওগাঁর কাশীপুরের বাসিন্দা মো. সাগর হোসেন (১২) ও ইমন ইসলাম (১৪)। জানা গেছে, প্রায় দুই বছর বিনা পাসপোর্টে নেপালে কাজ করে দেশে ফেরার পথে ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট হিলি সীমান্তে ধরা পড়ে মো. শাহ জামাল। প্রথমে তাকে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। পরে ওই কিশোর নাবালক প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আদালতের নির্দেশে গত বছরের জানুয়ারিতে শুভায়ন হোমে পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ মাস পর নিজের দেশে ফিরল শাহ জামাল। অন্যদিকে কাজের সন্ধানে বন্ধুদের সঙ্গে ভারতে আসে সাগর ও ইমন। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত বছরের জুনে হিলি সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক হয় ওই দুই কিশোর। পরে স্থান হয় শুভায়ন হোমে।