খুলনা জেলায় গত দুই বছরে চাহিদার প্রায় দ্বিগুণ মাছ ও চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে। ২০১৭ সালে এখানে ৫২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মাছ উৎপাদন হয় ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। যা আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। গতকাল জাতীয় মত্স্য সপ্তাহ উপলক্ষে খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মত্স্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দফতরের সাবেক উপ-পরিচালক প্রফুল্ল কুমার জানান, খুলনায় মাছ উৎপাদনে অবদান রাখেন প্রায় ৬৩ হাজার মত্স্য চাষি, হ্যাচারি মালিক ও ৪০ হাজার মত্স্যজীবী। এদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জেলার বিভিন্ন উন্মুক্ত জলাশয়ে ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ২৯ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। যা থেকে ১৪৮ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদন হবে। জেলা মত্স্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, মত্স্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বর্ণাঢ্য রালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।