বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

বাড়ির ছাদে ফুল ও ফলের বাগান

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

বাড়ির ছাদে ফুল ও ফলের বাগান

বাড়ির ছাদে ৫০ প্রজাতির ফুল ও ফলের বাগান করে যেমন আনন্দিত তেমনি বিশুদ্ধ খাওয়ার ফল পাচ্ছেন রুস্তম আলী। নিজেরা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকেও এই ফল দিয়ে সমাদর করছেন। এই ছাদের বাগান হয়ে উঠেছে প্রকৃতির বনাঞ্চল। আর এই ছাদের বাগান করেছেন দিনাজপুর শহরের উত্তর ফরিদপুর গোরস্থান এলাকার প্রকৃতি প্রেমিক রস্তম আলী সরকার। তিনি দিনাজপুর তথ্য অফিসে চাকরি করেন। অবসর সময়ে তার নিজ বাড়ির ছাদে শখের বসে এই বাগান গড়ে তুলেছেন। বাড়ির ছাদের জায়গাকে কাজে লাগিয়ে বিষমুক্ত ফল খাওয়া যাবে আবার ফুল চাষেও সৌন্দর্য্য মনকে প্রশান্তি দিবে এমনটাই ভাবেন তিনি। 

রুস্তম আলী সরকারের বাড়ির প্রবেশ পথে, সিঁড়িতে উঠার সময় সব জায়গাতেই দেখা যাবে টবে এসব ফুল বা ফলের গাছ। বাড়িতে প্রবেশ করে ছাদে যাওয়ার সময় অনেকের মনে হতে পারে এটা প্রকৃতির বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলেছি। ছাদে বাগানে রয়েছে জামরুল, বার মাসে ফল হয় এমন আম গাছ, কদবেল, লেবু, কয়েক প্রকার পেয়ারা, পেঁপে, দারুচিনি, ড্রাগন, গোলমরিচ, জলপাই, কামরাঙ্গা, করমচা, কমলাসহ কয়েক রকমের ফলের গাছ। এছাড়াও রয়েছে টবে ১০ বছর বয়সী বটগাছ, বাগান বিলাস, পানপরাগ, অর্কিড, কেকটাসসহ বিভিন্ন জাতের পাতা বাহার ও ফুলের গাছ। প্রকৃতি প্রেমিক রুস্তম আলী সরকার জানান, আমি প্রায় ১০ বছর আগে বাড়ির ছাদে এই বাগান গড়ে তুলি। প্রথমে বাড়ির ছাদে টবে ফুল গাছ লাগাই। এরপর বিষমুক্ত ফল খাওয়ার জন্য বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করি। আমার এ বাগানে ফুল ও ফল ছাড়াও মসলা যেমন দারুচিনি, গোলমরিচসহ কয়েক প্রজাতির গাছ রয়েছে। বার মাসেই আম ধরে এমন গাছে আম পাড়ার পরে মুকুল ধরেছে আবার। অন্য যে ফল রয়েছে সেগুলো দেখলেও মন জুড়িয়ে যায়। কিছু ফলগাছ আছে যেগুলোতে সারা বছরই ফল ধরে। ছাদের বাগানে চাষ করা বিষমুক্ত ফল নিজেরা খাই, আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশীদের বাড়িতেও পাঠাই। আমি নিজে অবসরে গাছের পরিচর্যা করি। অফিস থেকে এসে এই ছাদের বাগানে না এলে মনটাই যেন ভরে না। অবশ্য এখন এই ছাদের বাগান দেখে অনেকে স্বল্প পরিসরে বাড়ির ছাদে বিভিন্ন স্থানে এই ফুল কিংবা ফলের বাগান করেছে।

সর্বশেষ খবর