বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

সাদামুকুট পেঙ্গা

আলম শাইন

সাদামুকুট পেঙ্গা

দেখতে ভারি চমৎকার। স্বভাবে ঝগড়াটে হলেও একেবারেই ভীতু প্রকৃতির। কণ্ঠে সুর, তাল না থাকলেও প্রলাপ বকে দীর্ঘক্ষণ। ফলে সুর শুনতে আগ্রহ জাগে না কারও। বিচরণ করে সমতল থেকে প্রায় ১০-১২ মিটার উচ্চতার পাহাড়ি চিরসবুজ অরণ্যে। বিচরণ করে মিশ্র পাতাঝরা অরণ্যেও। বিশেষ করে বাঁশঝাড় কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে বেশি থাকে। বিচরণ করে দলবদ্ধভাবে। দলে কমপক্ষে ২০-২৫টি পাখি থাকে। মানুষ দেখলে ভীষণ ভয় পায়। মানুষের আনাগোনা টের পেলে লুকিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। হুট করে কেউই টের পায় না তখন এদের অবস্থান। পুরুষ পাখির চরিত্র তেমন একটা সুবিধার নয়। বহুগামীতার প্রমাণ মেলে। নিজ স্ত্রী ছাড়াও পর স্ত্রী’র সেবা গ্রহণ করতে দেখা যায়। অর্থাৎ একাধিক স্ত্রী পাখিরা পুরুষ পাখিকে ঘিরে থাকে এবং শরীর চুলকে দেয়। ওরা আরাম পেয়ে চুপচাপ বসে থাকে। দেশের পার্বত্য অঞ্চলেও এদের সাক্ষাৎ মেলে। এ ছাড়াও এশিয়ার অনেক দেশেই এদের দেখা যায়। পাখির বাংলা নাম:‘সাদামুকুট পেঙ্গা,’ ইংরেজি নাম:‘হোয়াইট ক্রেস্টেড লাফিং থ্রাস’, বৈজ্ঞানিক নাম : Garrulax Leucolophus। কেউ কেউ ‘সাদাঝুঁটি কুজন পাখি’ নামে ডাকে। প্রজাতির গড় দৈর্ঘ্য ৩০ সেন্টিমিটার। এদের মাথায় ধবধবে সাদাঝুঁটি। মাথা, বুকের কাছাকাছি পালকও ধবধবে সাদা। গলা ধূসর-সাদা। মোটা কালো টান কান থেকে চোখ হয়ে ঠোঁট পর্যন্ত ঠেকেছে।

শরীরের উপরের পালক গাঢ় বাদামি। ডানার প্রান্ত জলপাই বাদামি। বুকের তলা লালচে পালকে আবৃত। তুলনামূলক লেজ খানিকটা লম্বা, বর্ণ গাঢ় জলপাই বাদামি। ঠোঁট কুচকুচে কালো। পা, আঙ্গুল, নখও কালো। এদের প্রধান খাবার: কীটপতঙ্গ। ছোট ফলের প্রতিও আসক্তি রয়েছে।  প্রজনন সময় মার্চ থেকে আগস্ট মাস। বাসা বাঁধে বিচরণ ভূমি থেকে দেড়-দুই মিটার উচ্চতায় ঝোপের ভিতর। ডিমপাড়ে ৩-৫টি। ফোটতে সময় লাগে ১৫-১৭দিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর