বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ

আদালতে নেই খালেদার কোনো আইনজীবী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডিত মামলার আপিল শুনানিতে তার আইনজীবীরা উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হাই কোর্ট। ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি নির্ধারণ করে দেওয়া আদেশে হাই কোর্ট বলেছে, এ মামলায় ২৫ জন আইনজীবী ওকালতনামা জমা দিয়েছেন, তবে শুনানিতে একজনও উপস্থিত নেই। আদালত বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ। পরে ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ (বুধবার) কোর্ট বসার পর খালেদা জিয়ার দুজন আইনজীবী এসে বললেন, পাসওভার (কিছু সময়ের জন্য মুলতবি) চাই। তখন আদালত বলল, কোনো পাসওভার দেওয়া হবে না, আজকেই শুনানি হবে। কোর্ট তখন এক নম্বর আইটেমটা (মামলা) রেখে কার্যতালিকার ৮৯টি আইটেম শুনানি নেওয়ার পর আবার এক নম্বর আইটেম (খালেদা জিয়ার আপিল) কল করল। কিন্তু সে সময় উনাদের (খালেদার আইনজীবীদের) কাউকে পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘আদালত এ সময় মামলার নথি হাতে নিয়ে ওকালতনামায় দেখল ২৫ জন আইনজীবী এ মামলা পরিচালনার জন্য ওকালতনামা জমা দিয়েছেন। কিন্তু শুনানি করতে একজন আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন না। এ সময় আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, এ মামলার কারণে অন্যান্য মামলা কার্যতালিকায় আনা যাচ্ছে না, যার ফলে বিচারপ্রার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’ এই আইন কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু এটা বড় মামলা, তাই শুনানিতে সারা দিন লেগে যায়। যে কারণে কার্যতালিকায় কম মামলা নেওয়া হয়। তা ছাড়া আপিল বিভাগের নির্দেশনা আছে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার। আবার কদিন পরে কোর্ট এক-দেড় মাসের জন্য বন্ধ হতে যাচ্ছে।’ গত ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

রায় ঘোষণার দিন থেকেই কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে এ মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগে বহাল থাকলেও অন্য মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তার কারামুক্তি মিলছে না।

সর্বশেষ খবর