সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
আইন উঠছে মন্ত্রিসভায়

দুর্ঘটনায় মানুষ হত্যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে উঠছে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’। গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনটি মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে।

মন্ত্রিসভার নিয়মিত এ বৈঠকে আইনটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপর তা উপস্থাপন করা হবে সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে। আইন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, নতুন এই আইনে দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।  সে ক্ষেত্রে সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে মানুষ হত্যা করলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আহত করলে শাস্তি হবে ৩০৪ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মৃত্যু হলে এরও শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। এছাড়া রাস্তায় পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে এর শাস্তি হবে ৩ বছরের কারাদণ্ড বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। তবে রাস্তায় পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও তার জন্য সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামালে তার শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ১ বছরের জেল বা ১ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ড। নতুন এই আইনে মোটরযানের মালিকেরও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। আইনে পেশাদার-অপেশাদার উভয় চালকের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালনার জন্য লাইসেন্স পেতে হলে সেক্ষেত্রে চালকের সর্বনিম্ন শিক্ষাগতযোগ্যতা হবে ৮ম শ্রেণি। আর চালকের হেলপারের শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ৫ম শ্রেণি। এর ব্যত্যয় হলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড। পাশাপাশি এক্ষেত্রে বিনা পরোয়ানায় চালককে গ্রেফতার করার বিধানও রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ১১টি বিশেষ পয়েন্ট রাখা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে সেই পয়েন্টগুলো কাটা হবে।

সর্বশেষ খবর