বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাস্তা ও ভবন সুরক্ষায় চার দফা নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

রুকনুজ্জামান অঞ্জন

সারা দেশের রাস্তা ও সরকারি ভবন রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে— ক. দেশে যেসব রাস্তা ও ভবন তৈরি হবে নির্মাণ কর্তৃপক্ষ তার লাইফটাইম নির্ধারণ করবে। খ. ভবন, রাস্তা ও অন্যান্য স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরওয়ারি কী পরিমাণ বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তা নির্ধারণ করবে। গ. আগামী দুই মাসের মধ্যে লাইফটাইম নির্ধারণসংবলিত সব কর্মপরিকল্পনা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করতে  হবে এবং ঘ. প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি মনিটরিং করবে। ৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এসব নির্দেশনাসংবলিত চিঠি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় পাঠানো হয়।

সূত্রগুলো জানায়, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি বিপুল অর্থ ব্যয় করে স্থাপনা ও সড়ক নির্মাণের পর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। উপরন্তু বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না থাকায়ও রাস্তা ও সরকারি ভবন রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা সৃষ্টি হয়। সরকারি নির্মাণকাজের গুণ ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব কাজে যাতে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয় সে লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন রাস্তার সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও সংস্কারের জন্য ‘সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল বোর্ড আইন’ থাকলেও সরকারি স্থাপনা সুরক্ষার জন্য কোনো তহবিল বোর্ড নেই।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী ঐতিহাসিক, কেপিআই স্থাপনাসহ বিভিন্ন সরকারি ভবন ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গণপূর্ত অধিদফতরের। বর্তমানে সারা দেশে গণপূর্ত অধিদফতরের আওতাধীন সরকারি অফিস ভবন ও আবাসিক ভবনের সংখ্যা ২৫ হাজারের অধিক। তবে প্রয়োজনীয় বাজেটের অভাবে এগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা যায় না। সঠিকভাবে স্থাপনা সংরক্ষণ, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এগুলো দ্রুত স্থায়ীভাবে মেরামত-অযোগ্য হয়ে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতির কারণ হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে মেরামত ও সংরক্ষণে বরাদ্দ ছিল ৪৫২ কোটি টাকা; ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ কমে দাঁড়ায় ৪২৫ কোটি। অথচ সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা প্রয়োজন। বর্তমানে বাজেটে যে পরিমাণ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তা মোট চাহিদার ৩১ শতাংশের কাছাকাছি।

সর্বশেষ খবর