শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভারত থেকে আসছে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে ভারত থেকে। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে এই বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নতুন ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নতুন বিদ্যুৎ আমদানির জন্য কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইতোমধ্যেই নির্মাণ করা হয়েছে ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার নতুন এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক সাবস্টেশন।

নতুন করে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানির বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা আগামী মাসে (সেপ্টেম্বর) ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছি। সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেনা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী মাসের প্রথম দিকে এই বিদ্যুৎ আমদানির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ক্রমান্বয়ে ভারত থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি হচ্ছে। সূত্র জানায়, ভারতের সরকারি খাত থেকে ২৫০ ও বেসরকারি খাত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ভারতের বহরমপুর গ্রিড থেকে এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। ইতিপূর্বে ২০১৩ সালে ভারত থেকে প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে এই ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল। পরে ২০১৪ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি ভেড়ামারা আন্তসংযোগ গ্রিডের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয় ও প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটির নাম রাখা হয় ‘৫০০ মেগাওয়াট এইচভিডিসি ব্যাক টু ব্যাক কনভার্ট ইউনিট-২’। নতুন করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকার সাবস্টেশন নির্মাণে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে।

২০১৫ সালের ৩১ মার্চ ৪০৪ দশমিক ৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সাবস্টেশন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। পরে ২০১৬ সালে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৭৭ দশমিক ৯২ কোটি টাকা। প্রকল্পটির তিন বছর মেয়াদে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়। ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যায়। এই সাবস্টেশনের সঙ্গে ভেড়ামারা-ঈশ্বরদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর