শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

জনকল্যাণের জন্যই রাজনীতি, ভোটের জন্য নয় : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতা আমার কাছে কোনো ভোগ বা বিলাসের বস্তু নয়। ক্ষমতা হচ্ছে দায়িত্ব পালন। কাজেই এ দায়িত্বটাই পালন করতে চাই। মানুষের সেবা করাটাই আমাদের কাজ। শুধু ভোট পাওয়ার জন্য নয়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি জনকল্যাণের জন্য। জনসেবা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। জাতির পিতার কাছ থেকে এটা আমরা শিখেছি। গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চারপাশের আট জেলার ২০টি উপজেলায় কমিউনিটিভিশন   সেন্টারের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সব সময় মনে রাখি যে আমার বাবা দেশ স্বাধীন করে গেছেন। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই আমার প্রথম কর্তব্য। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। ভোট দেওয়া না দেওয়া এটা জনগণের অধিকার। কিন্তু জনসেবা করব, জনগণকে একটু সুখ-শান্তি দেব, তাদের রোগে চিকিৎসা দেব, তাদের একটু উন্নত জীবন দেব, তাদের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করব— এটা তো রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের অঙ্গীকার। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিল। শুধু এই একটা অজুহাতে যে এই ক্লিনিকে যারা কাজ করবে এবং যারা স্বাস্থ্যসেবা পাবে, তারা সব নৌকায় ভোট দেবে। স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এজন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে প্রতিটি গ্রামে অন্তত ১০ শয্যার একটি করে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই স্বাস্থ্যসেবা আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ২০ উপজেলার কমিউনিটিভিশন সেন্টারের কর্মকর্তা, চিকিৎসক এবং উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, ভারতের মুম্বাইয়ের অরবিন্দ চক্ষু হাসপাতালের চেয়ারম্যান আর ডি রবীন্দ্রান, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।

কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপিত ২০ উপজেলা হচ্ছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর; বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী, রামপাল; নড়াইলের লোহাগড়া ও কালিয়া; ফরিদপুরের ভাঙ্গা, সদরপুর, আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী; খুলনার রূপসা, দীঘলিয়া, তেরোখাদা; মাদারীপুরের রাজৈর; পিরোজপুরের নাজিরপুর ও রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নতুন নতুন যেসব হাসপাতাল হচ্ছে তাতে অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স আছে। তারা ভালোমানের সেবা দিতে পারছে। হাসপাতালের পাশাপাশি আরও ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞ নার্স তৈরির কাজ চলছে। দেশের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য এখন বিদেশ থেকে নার্স ও ডাক্তারদের ট্রেনিং দিয়ে আনা হচ্ছে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় আরও মানসম্মত হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা জেলা পর্যায়ে মেডিকেল কলেজ করেছি। দেশের প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। দুটো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে করা হয়েছে। আরও একটি করার পরিকল্পনা আছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি ডিভিশনাল হেডকোয়ার্টারে আমরা একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।

সর্বশেষ খবর