শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

বড়পুকুরিয়ায় সাবেক এমডিসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন বলেছেন, খনির কয়লা চুরি হয়নি। সিস্টেম লসের কারণে ঘাটতি হয়েছে। গতকাল জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা বলেন তিনি। প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গতকাল আরও সাত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির প্রধান ও সংস্থাটির উপ-পরিচালক শামছুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কিছুই বলতে রাজি হননি। গতকাল যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন— বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিব উদ্দিন আহমদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন), কোম্পানি সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানিয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড  মেইনটেন্যান্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চতুর্থ দফায় সাবেক চার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতির অভিযোগে বিসিএমসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বাদী হয়ে কোম্পানির সদ্য সাবেক এমডি হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা করেন। তফসিলভুক্ত হওয়ায় অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। মামলায় ১৯ আসামিসহ পেট্রোবাংলার ২১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য চিঠি দেয় দুদক। এর আগে এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুেকন্দ্রে কাগজে-কলমে বেশি কয়লার মজুদ দেখিয়ে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল দুদক।

সর্বশেষ খবর