পাবনায় সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলায় নদীর সাবেক শ্বশুর শিল্পপতি আবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক মো. রাশেদ হোসাইন এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার জানান, সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রধান আসামি আবুল হোসেনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিন মঞ্জুর করে। এর আগে বুধবার আবুল হোসেনকে গ্রেফতারের পর পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। মঙ্গলবার রাতে শহরের রাধানগরে সাংবাদিক সুবর্ণা নদীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন, সাবেক স্বামী রাজীব হোসেনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে রাজীব পলাতক। এদিকে, সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— ঢাকা : সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, যারা সাংবাদিকদের ওপর হাত দিয়েছে তাদের হাত পুড়ে যাবে। একের পর এক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতন হচ্ছে। এ পর্যন্ত একটি ঘটনারও বিচার হয়নি। সর্বশেষ পাবনায় আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অবিলম্বে এসব ঘটনার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ডিইউজে সহসভাপতি শাহীন হাসনাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্মসম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সহসভাপতি নূরুল আমিন রোকন, সহকারী মহাসচিব শফিউল আলম দোলন, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস হোসেন, সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, রাঙামাটি, গাইবান্ধা, ঝালকাঠি, চুয়াডাঙ্গা, জামালপুর, ঠাকুরগাঁও ও নওগাঁয় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা।