চার সহকর্মীকে গুম আর কারখানা থেকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে রাজধানীর উত্তরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এতে বিমানবন্দর এলাকা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই চার শ্রমিককে টঙ্গী থেকে উদ্ধার এবং গার্মেন্ট মালিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এরপর ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। জানা যায়, ‘টপ জিন্স গার্মেন্ট’ এর ৪ শ্রমিককে গুম এবং প্রায় ১ হাজার জনকে ওই কারখানা থেকে অযৌক্তিকভাবে ছাঁটাই করা হচ্ছে— এমন খবরে বেলা ১১টার পর সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে গার্মেন্ট শ্রমিকরা। এতে সংহতি জানিয়ে উত্তরখানের আরও কয়েকটি গার্মেন্টের হাজারো শ্রমিক জসীমউদ্দীন ও বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা আশপাশ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। পরে বেলা পৌনে ৩টার দিকে শ্রমিক ও কারখানা মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পুলিশ কর্মকর্তারা। এ সময় মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। আর সমস্যা সমাধানের জন্য শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, বেলা আড়াইটার দিকে ওই চার শ্রমিককে টঙ্গী এলাকায় পাওয়া যায়। কী কারণে, কখন কোথায় ওই চার শ্রমিক অপহরণ হয়েছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) কামরুজ্জামান জানান, গুমের গুজব এবং গার্মেন্ট থেকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়।এর আগে বুধবার বিমানবন্দর সড়কে খিলক্ষেতে একটি কনটেইনারবাহী ট্রেইলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে পড়লে এলাকাটি দিনভর অচল হয়ে পড়ে। প্রায় সাত ঘণ্টা পর ট্রেইলার সরানোর পর বিমানবন্দর সড়কটি সচল হয়। তার আগে বিকল্প সড়ক হিসেবে আশপাশের সড়কে যানবাহন প্রবেশ করায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। ঈদের ছুটির পর অনেকটা ফাঁকা রাজধানীতে এ ঘটনায় হঠাৎ বিড়ম্বনায় পড়ে নগরবাসী।