বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শাস্ত্রীয় সংগীতের মূর্ছনা

ডি-লিট পাচ্ছেন হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেন

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শাস্ত্রীয় সংগীতের মূর্ছনা

শাস্ত্রীয় সংগীতের সুরের সুধা হৃদয়ের মন্দিরে ভালোলাগার অনুরণন তোলে। ব্যাকরণগত সুরের রাগ-রাগিণীর খেলায় প্রাণের কোণে ভিন্ন এক অনুভূতি জাগায়। সুরপিয়াসীরাও তাই হারিয়ে যান অভিজাত এই সুরের মূর্ছনায়। বাদ্যযন্ত্র ও কণ্ঠের তাল, লয়ের সমীকরণ শুধু কানে নয়, শ্রোতার মনের গহিনেও ধাক্কা দেয়। শাস্ত্রীয় সংগীতের খেলায় সরোদ আর তবলার ছন্দময় তালে জাতীয় জাদুঘরে আগত অসংখ্য সংগীতানুরাগীর হৃদয়ে ধাক্কা দিলেন ভারতের সরোদশিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য ও তবলাবাদক নিলীমেশ চক্রবর্তী। শৈল্পিক পরিবেশনায় সরোদ আর তবলার যুগলবন্দীতে রাজধানীর সুরপিয়াসীদের কয়েক ঘণ্টা বিমোহিত করে রাখলেন ভারতের এ দুই শিল্পী।

গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সরোদ ও তবলার এই যুগলবন্দী আসরের আয়োজন করে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার (আইজিসিসি)।

রাগ জয় জয়ন্তী দিয়ে শুরু করে আলাপ জোড় ঝালার মধ্য দিয়ে নিজেদের পরিবেশনা শেষ করেন অর্ণব ভট্টাচার্য ও নিলীমেশ চক্রবর্তী। এরপর দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা ত্রিতালে তারা রাগ তিলোক কামোদ পরিবেশন করেন। অর্ণব ভট্টাচার্যের পরিবেশনায় ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রথাগত ও আধুনিক উভয় ধারারই সংমিশ্রণ রয়েছে। দেশে-বিদেশের বহু মঞ্চে সরোদ পরিবেশনের খ্যাতি অর্জন করেছেন অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের নিয়মিত এই শিল্পী।

অন্যদিকে সর্বভারতীয় সংগীত পরিষদসহ নানা প্রতিযোগিতায় সেরা তবলা বাদকের কৃতিত্ব লাভ করেছেন নিলীমেশ চক্রবর্তী।

ডি-লিট পাচ্ছেন হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেন : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন সমাবর্তনে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ও দেশবরেণ্য সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি-লিট) ডিগ্রি দেওয়া হবে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দশম সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাদের এ ডিগ্রি প্রদান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রভাষ কুমার কর্মকার এ তথ্য জানিয়েছেন। অধ্যাপক প্রভাষ কর্মকার জানান, ‘হাসান আজিজুল হক ও সেলিনা হোসেন দুজনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এর মধ্যে হাসান আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন শিক্ষকতাও করেছেন। বাংলা সাহিত্যে তাদের অবদান শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে স্বীকৃত। দেশ-বিদেশে তারা বিভিন্ন পুরস্কার, পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন। তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, হাসান আজিজুল হক ১৯৬০ সালে রাবির দর্শন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি দর্শন বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। হাসান আজিজুল হক ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৯৯ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ২০১২ সালে ভারতের আসাম বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেলিনা হোসেন প্রথম নারী হিসেবে বাংলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, রবীন্দ্রস্মৃতি পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

সর্বশেষ খবর