বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সবজি চাষিরা আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে এবার ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন। অনেক খেতে ফুল ধরতে শুরু করেছে।

ফুল টমেটো চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু আগাম টমেটো চাষে রয়েছে নানান বিড়ম্বনা। সঠিকভাবে পরিচর্যা না করলে চাষিদের চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে। এমনটাই জানালেন উপজেলার খড়মখালী গ্রামের বেশ কয়েকজন টমেটো চাষি। টমেটো চাষি মুক্তিযোদ্ধা মনি মোহন হীরা, আলমগীর তরফদার, পরিমল মজুমদার ও  গৌর মজুমদার জানান, এ অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। প্রতি বছর এখানে ৫ লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হয়। আগাম টমেটোতে ভালো দাম পাওয়া যায়। টমেটো ফলাতে কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমও করতে হয়। তারা এ আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন। শ্রীরামপুর গ্রামের টমেটো চাষি বিমল মণ্ডল, কালশিরার বিকাশ মণ্ডল, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, সুরশাইলের মুন্না শেখ, খড়মখালীর পরিতোষ মজুমদার, ক্ষিতিষ, লিটন সিংহ, কুরমুনির রেজাউল খান, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের দেবদাস বৈরাগী, দ্বিজেন বৈরাগী, সুবাস বৈরাগী, বুদ্ধ বসু ও নিহার পালসহ অনেক চাষি প্রায় অভিন্ন সুরে জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা বেশির কারণে টমেটো গাছ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। টমেটো চাষে ক্ষতি হলে এ অঞ্চলের চাষিদের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর চিতলমারী উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে উচ্চ ফলনশীল চক্র, পানপাতা, মিন্টু সুপার, লাভলী, হাইটম ও বিউটিসহ  বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষ হয়েছে। মূলত এ এলাকায় শীতকালীন টমেটার চাষ হয়ে থাকে। তাই আগাম চাষের জন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেদিকটা বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের চাষিদের সার্বিক পরামর্শসহ টমেটো খেতের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।