শিরোনাম
রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাষ্ট্রপতির প্রাণবন্ত বক্তব্য

সমাবর্তনে উৎসবমুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি প্রতিনিধি

সমাবর্তনে উৎসবমুখর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

সমাবর্তন উপলক্ষে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার চত্বর। নানা আয়োজনে গতকাল সকাল থেকে দশম সমাবর্তনের এ উৎসব শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আগের দিন শুক্রবার রাতের মধ্যেই ক্যাম্পাসে পৌঁছে গিয়েছিলেন সব নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েটরা। ফলে তখন থেকেই সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস চত্বর। গতকাল পুরো ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছিল গ্র্যাজুয়েটদের মিলনমেলায়। বিকালে দশম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মূল আয়োজন ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে। এখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘আজকাল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অসহিষ্ণুতা, উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের মতো নেতিবাচক কর্মকাণ্ড জাতি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করছে। আমি মনে করি এর উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছে মুক্ত চিন্তা ও সংস্কৃতির অভাবে। রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করতে হলে দেশে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। আর সেই নেতৃত্ব তৈরি হবে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমেই। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপক আলমগীর মো. সিরাজুদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সমাবর্তনে বাংলা সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ও দেশবরেণ্য সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি. লিট) ডিগ্রি তুলে দেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি তার নির্ধারিত বক্তব্যের মধ্যে রসিকতা করে বলেন, ‘দেখেন, আমি খুব দ্রুত লিখিত বক্তব্যটি পাঠ করছি। দেরি হয়ে গেলে হেলিকপ্টার নিয়ে আর ফিরতে পারব না। পাঁচ দিন ঘুইরা আইছি হাওর এলাকায়, দুর্গম এলাকায়, অনুন্নত এলাকায়। রাজশাহী তো অনেক উন্নত এলাকা। তবে এখানে গরম আবার খুব বেশি। আজকে যেভাবে আপনারা হাতের ব্যায়াম করছেন, এই ব্যায়াম দেখে বেশি কথা বলার মতো সাহস আমার নাই। পত্রিকা আর খাতা দিয়া যে ব্যায়াম হচ্ছে (খাতা দিয়ে বাতাস করা), এটা ছাড়া আমি কিছু আর দেখছি না।’ এ সময় গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। তারা আচার্যকে হাততালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাহেবকে বলতে চাই, কনভকেশনে বিভিন্ন জায়গায় আমি বারবার বলি যে আপনারা ভিতরে একটু লাইট দ্যান। আরে আপনারা তো শিক্ষার আলো ছড়ান। কিন্তু এই প্যান্ডেলের ভিতরে খালি অন্ধকার। কিছুই তো দেখি না। চেহারা-টেহারা তো কিচ্ছু দেখা যায় না।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর