সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
সেমিনারে তথ্য

সাইবার হামলার ঝুঁকিতে এখনো অধিকাংশ ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে এখনো দেশের অধিকাংশ ব্যাংক। হামলা প্রতিরোধে কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেই ২৮ ভাগ ব্যাংকের। আর আংশিক প্রস্তুতি আছে মাত্র ৩৪ ভাগ ব্যাংকের। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সেমিনারে উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

গতকাল রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটরিয়ামে ‘আইটি সিকিউরিটি  অব ব্যাংকস ইন বাংলাদেশ : থ্রেটস অ্যান্ড প্রিপিয়ার্ডনেস’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এ গবেষণা প্রতিবেদনে উপস্থাপন করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম। গবেষণা দলে আরও ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান, সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী, প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মো. আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, বিআইবিএমের মুজাফফর আহমেদ, চেয়ার প্রফেসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব-উল আলম প্রমুখ। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০টি জালিয়াতির ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটিএম কার্ডে জালিয়াতির ঘটনা বেশি। প্রায় ৪৩ শতাংশ এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। প্রায় ২৫ শতাংশ ঘটনা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঘটেছে। ১৫ শতাংশ এসিপিএস ও ইএফটির মাধ্যমে জালিয়াতি ঘটছে ব্যাংকিং খাতে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১২ শতাংশ, ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারে ৩ শতাংশ, সুইফট এবং অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে ঘটেছে ২ শতাংশ। দেশের ব্যাংক খাতে সাইবার হামলা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মাত্র ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ ৬২ ভাগ ব্যাংকের সাইবার হামলা প্রতিরোধ করার সক্ষমতা এখনো নেই। ফলে বড় ধরনের কোনো হামলা হলে আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। সেমিনারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মো. আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, দিন দিন বিশ্বব্যাপী আইটি ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতও এর বাইরে নেই। এ খাতের ওপর যেসব আক্রমণ হচ্ছে তা জটিল। বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আলাদা গাইড লাইন তৈরি করে দিয়েছে। এগুলো সঠিকভাবে পালন করলে ঝুঁকি কমে আসবে।

সর্বশেষ খবর