বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

কুমিল্লায় গাড়লের খামার

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

কুমিল্লায় গাড়লের খামার

কুমিল্লায় গাড়ল পালনের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেখতে ভেড়ার মতো প্রাণীটি দ্রুত বাড়ে, কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয়। তাই কুমিল্লার খামারিরা ঝুঁকছেন গাড়ল পালনে। প্রথমবারের মতো কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কাদরা গ্রামের কায়সার অ্যাগ্রো ফার্মে গাড়ল পালন করা হচ্ছে। লাকসাম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. সুজনকান্তি শর্মা বলেন, গাড়ল বলতে সাধারণত আমরা লেজ লম্বা আকারে বড় ভেড়াগুলোকে বুঝি। প্রকৃত অর্থে গাড়ল মূলত সুন্দরবন অঞ্চলের একটি স্বীকৃত ভেড়ার জাত। এগুলো দেখতে আমাদের দেশি ভেড়ার মতো এবং আকারে দেশি ভেড়ার থেকে কিছুটা বড়। এগুলো নোনা পানির অঞ্চলে সহজে মানিয়ে নেয় এবং খুব শক্ত প্রকৃতির। আর লেজ লম্বা আকারে বড় ভেড়াগুলো আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুর অঞ্চলের ছোটনাগপুরি জাতের ভেড়ার সঙ্গে আমাদের দেশি ভেড়ার ক্রস ব্রিড। রাজশাহী অঞ্চলের খামারিরা প্রথম এ সংকরায়ণ ঘটালেও মেহেরপুর অঞ্চলে এর ব্যাপকতা দেখা যায়। এ ক্রস ব্রিডের নামকরণ হয় গাড়ল। গাড়ল আকারে বড় হয়, শরীরে প্রচুর পশম থাকে এবং বছরে একটি করে বাচ্চা দেয়। তবে এর দৈহিক বৃদ্ধি খুব ভালো। একটি গাড়ল প্রতিদিন ১৪০-১৫০ গ্রাম বৃদ্ধি পায়। যদিও বৃদ্ধির এ হার নির্ভর করবে খামারের পালনব্যবস্থার ওপর। গাড়লের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক। গাড়লের মাংস সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। গরু-ছাগলের মাংসে যেসব ক্ষতিকর দিক রয়েছে গাড়লের মাংস সেগুলো থেকে মুক্ত। নেপিয়ার ঘাস, ভুট্টা খাওয়ালে গাড়ল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। খড় ছোট ছোট করে কেটে গাড়লকে খাওয়ানো যায়। খামারের মালিক শহীদ কায়সার বাবলু বলেন, শখের বশে খামার করছি। ছাগল, ভেড়ার সঙ্গে গাড়লও পালন করছি। ভারত থেকে গাড়লের বাচ্চা আনি। এগুলোর বৃদ্ধি অনেক ভালো। প্রথমে একটু সমস্যা হলেও গত দুই বছরে গাড়ল পালনে ভালো ফল পাওয়া গেছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর