শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বৃহত্তর ঐক্যের নাম ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার জোটের প্রাথমিকভাবে নামকরণ করা হয়েছে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। গত দুই দিন ধরে বৈঠক করে বৃহত্তর ঐক্যের সব দলের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে জোটের এ নামকরণ করা হয়। গত রাতেও রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবেব বাসায় বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বৈঠক করেন। এ সময় তারা রবিবার রাতের আলোচ্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

জানা যায়, রবিবার রাতে বিএনপির কাছে ক্ষমতার ভারসাম্যের ফয়সালা চান জাতীয় ঐক্যের নেতারা। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য ও সরকার পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা বা রূপরেখা এখনই তৈরি করার পক্ষে তারা। এ ব্যাপারে রবিবার যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বক্তব্য তুলে ধরলে বিএনপির পক্ষ থেকে তেমন কোনো মন্তব্যই করা হয়নি। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুধু বলেছেন, এ বিষয়টি নিয়ে এখনই আলোচনার সময় নয়। এখন আমাদের আন্দোলন করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দাবি আদায় করতে হবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান। বৈঠক সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে নেতাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা আমিন নেতাদের জানান, এটা একটি রাজনৈতিক সংগঠন। তখনই সবার মতামতের ভিত্তিতে বৃহত্তর জোটের নামকরণ করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এ নিয়ে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতামত পেলেই নাম চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে গতকাল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সবার মতামতের ‘জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট’ নামে প্রাথমিকভাবে জোটের নামকরণ করা হয়েছে। এখন শীর্ষ দু-একজন নেতা সায় দিলেই এ নামেই চলবে আমাদের সব আন্দোলন কর্মসূচি।

১১ অক্টোবর পরবর্তী বৈঠক ড. কামালের বাসায় : জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকার গঠন করলে করণীয় কী হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও আলোচনা হয়। গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ফ্রন্টের পরবর্তী বৈঠক হবে ১১ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের বাস ভবনে। ওই বৈঠকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ১২ অক্টোবর আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় গতকাল রাত ৯টা থেকে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডি সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের এস এম আকরাম, শহীদুল্লাহ কায়সার, ঐক্য প্রক্রিয়ার সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসীন মন্টু, মোস্তফা আমিন, বিকল্পধারার মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

সর্বশেষ খবর