ছুটির দিনে গতকাল ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে জমেছিল শরৎ উৎসব। নীল আর সাদা পোশাক পরে উৎসবে শামিল হয়েছিলেন অগণিত নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোর। ভোর থেকেই ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তন ছিল শরতের শুভ্রতায় জমজমাট। উৎসবের তরুণীরা পরেছিলেন সাদা ও নীল রঙের নকশা করা শাড়ি। অনেকের খোঁপায় জড়ানো ছিল ফুলের মালা। ‘দেখো-দেখো, দেখো শুকতারা আঁখি মেলি চায়’ গান দিয়ে শুরু হয়েছিল উৎসবের কার্যক্রম। ছায়ানটের খুদে শিক্ষার্থীরা সমবেত কণ্ঠে গানটি পরিবেশন করে। সঙ্গে ছিল নৃত্য। ছায়ানট ভবনের করিডর থেকে নেচেগেয়ে শিল্পীরা মূল মিলনায়তনে প্রবেশ করেন। এরপর নুসরাত জাহান গেয়ে শোনান ‘শুভ্র আসনে বিরাজ অরুণ ছটা মাঝে।’ একে একে বিক্রম দাস ও মাকছুরা আখতার একক কণ্ঠে শোনান ‘আলোর অমল কমলখানি’ ‘আমার রাত পোহালো’ গান। পঞ্চম পরিবেশনায় ছিল ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’ গানের সমবেত পরিবেশনা। গানের সঙ্গে ছিল নৃত্য। একক ও সম্মিলিত গান, নৃত্য ও আবৃত্তির মধ্য দিয়ে চলে অনুষ্ঠান। গানগুলোর মধ্যে ছিল— ‘শরৎ-আলোর কমলবনে’ ‘আমারে ডাক দিল কে ভেতর পানে’ ‘আজি শরততপনে প্রভাতস্বপনে’ ‘আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি’ ‘হেলাফেলা সারা বেলা’ ‘এবার অবগুণ্ঠন খোলো’ ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’ ইত্যাদি। গান শোনান সেমন্তি মঞ্জরী, চঞ্চল বড়াল, দীপ্র নিশান্ত, অনিন্দিতা বৃষ্টি, দীপ্তি তালুকদার প্রমুখ। কোনো কোনো গানের সঙ্গে ছিল নৃত্য। সব শেষে ছায়ানটের শিক্ষার্থীরা সমবেত কণ্ঠে ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান, চলে প্রায় ১০টা পর্যন্ত।