শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
চিড়িয়াখানা

নতুন অতিথি নেদারল্যান্ডসের লাল ক্যাঙ্গারু

মোস্তফা কাজল

নতুন অতিথি নেদারল্যান্ডসের লাল ক্যাঙ্গারু

নেদারল্যান্ডস থেকে কেনা লাল ক্যাঙ্গারু দম্পতি জজ ও বুশরা রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি। দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য নেদারল্যান্ডস থেকে উড়িয়ে আনা হলো দুটি ক্যাঙ্গারু। চিড়িয়াখানার প্রাণী ও পাখিদের সঙ্গে থাকবে নতুন দুই ডাচ প্রাণী। এদের আদি বাসস্থান অস্ট্রেলিয়ায়।

ক্যাঙ্গারু দুটিকে বিশেষ ব্যবস্থায় গতকাল কোয়াইনট্রাইয়িনে (সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্রে) রাখা হয়েছে। আগামী ১৪ দিন থাকবে বিশেষ নজরদারিতে। এরপর ভেটেরিনারি সার্জনের মতামত নিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হবে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এ দুই প্রাণী বিমানে চড়ে ঢাকায় পৌঁছেছে। জানতে চাইলে জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নেদারল্যান্ডস থেকে দুই ক্যাঙ্গারু দরপত্রের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকায় কেনা হয়েছে। জাতীয় এ চিড়িয়াখানাকে বিশ্বমানের রূপান্তর ও আধুনিকভাবে সাজাতে এবং দর্শনার্থীদের কাঙ্ক্ষিত বিনোদনে কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের প্রাণী আনা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বিদেশ থেকে দুটি ক্যাঙ্গারু আনা হয়েছে। বিশ্বে বিভিন্ন রঙের ক্যাঙ্গারু আছে। লাল রঙের ক্যাঙ্গারু  দেখতে সুন্দর। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, দুটি ক্যাঙ্গারুর বয়স এক থেকে দেড় বছর। চিড়িয়াখানার মাঝামাঝি স্থানে উটপাখির শেডের পাশে রাখা হবে এগুলো। এদের রাখতে শেড প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৪ দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রদর্শিত হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া নতুন অতিথিদের জন্য খাদ্য তালিকায় রাখা হয়েছে আঙ্গুর, আপেল ও কমলা। আরও থাকছে শক্তিবর্ধক থাইল্যান্ডের দুধ ও কচি ঘাস। বিশ্বব্যাপী পরিচিত ভিন্ন ধাঁচের প্রাণী ক্যাঙ্গারু অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু। দেশটির আশপাশের কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া বিশ্বের আর কোনো দেশে জন্মে না শক্তিশালী পায়ের এ প্রাণীটি। দুই পা ও শক্তিশালী লম্বা লেজে ভর করে চলে এরা। একটি পূর্ণবয়স্ক ক্যাঙ্গারু এক লাফে ৩০ ফুট পর্যন্ত এগোতে পারে। ক্যাঙ্গারুর এই লাফানোর গতি চিতা বাঘের চেয়েও বেশি। এভাবে তারা ৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত এক দিনে চলতে পারে। লাফের সময় তাদের লেজ শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সামনের পা দুটি তুলনামূলক ছোট। এরা মূলত তৃণভোজী প্রাণী। ঘাস, লতাপাতা খেয়েই বেঁচে থাকে। এ প্রাণীর মাংস সুস্বাদু। মানুষ এবং ঈগলই এদের প্রধান শক্র। মেয়ে ক্যাঙ্গারুর শরীরের সামনে পেটের সঙ্গে বড় আকারের একটি থলি থাকে। এই থলির মধ্যে তারা শিশু ক্যাঙ্গারুকে রেখে চলাফেরা করে। এটা তাদের জন্য নিরাপত্তারও একটি অংশ। এভাবে তারা থলিতে থাকতে চার মাস বয়স পর্যন্ত ভালোভাবে থাকতে পারে। তবে বয়স ১০ মাস হয়ে গেলে পুরোপুরি মায়ের এই আরামদায়ক ওম থেকে বাচ্চাদের সরে যেতে হয়। স্তন্যপায়ী এ প্রাণীটির প্রজাতি রয়েছে প্রায় ৫০টি। তবে লাল ও ধূসর ক্যাঙ্গারু আকারে বড় হয়। লম্বায় দুই মিটার ও ওজন ৮৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। জানা  গেছে, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ও মহিলা জাতের উট আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওইগুলো স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে।

সর্বশেষ খবর