বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গোলাপ ফুলের গ্রাম

দুই টাকায় এক গোলাপ

মোস্তফা কাজল

গোলাপ ফুলের গ্রাম

সাভার উপজেলার উত্তর শ্যামপুর এখন গোলাপের গ্রাম নামে পরিচিত। এ গ্রামের প্রায় ৩০ একর জমিতে গোলাপ চাষ হয়। গ্রামের অর্ধশত শিক্ষিত ও বেকার যুবক গোলাপ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ গ্রাম থেকে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার গোলাপ ফুল বিক্রি হয়। মাসে প্রায় কোটি টাকার লেনদেন হয়। গোলাপের চাষ শুধু এ গ্রামেই সীমাবদ্ধ নেই, আশপাশের কয়েকটি গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। সরেজমিন এই গ্রামে গিয়ে মিলেছে এসব তথ্য।

মহানগরী ঢাকার পাশেই এমন মায়াবী প্রাকৃতিক দৃশ্য না দেখলে বিশ্বাসই হবে না। কয়েকদিন আগে নৈসর্গিক এসব দৃশ্য দেখে চোখ আটকায়। সত্যিই অসাধারণ! লাল গোলাপের বিরাট বিরাট বাগান। গাড়ি পার্ক করে বাগানের ভিতরে যাই। এ যেন লাল গোলাপের সমুদ্র! কোনো কোনো গোলাপ সাদা, কালো, হলুদ ও কমলা। যতই এগিয়ে যাই, ততই যেন অপার্থিব ভালোলাগা ভর করে মনে। অন্যসব চিন্তা বাদ দিয়ে ভিতরে ঢুকতে থাকি। যতই এগোই, ততই যেন গোলাপবাগানের লোকগুলো আপন হতে থাকে। প্রথম বাগানে যে আঁটির দাম ছিল ৪০০ টাকা, এখন তা পারলে এমনিতেই দিয়ে দেয়। আগে থেকেই ধারণা পেয়েছিলাম, এ এলাকার লোকজন একটু নরম স্বভাবের। দেখা হয় স্থানীয় বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ আবদুল খালেকের সঙ্গে। তিনি জানালেন, এই শ্যামপুর গ্রামের এক বাসিন্দা ২০ বছর আগে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু করেন। তার নাম গোলাম রসুল। তার বাগান করা দেখে ধীরে ধীরে গ্রামের অন্যরাও অনুপ্রাণিত হয়ে ফুল চাষে এগিয়ে আসেন। বছরের ১২ মাসই গোলাপ চাষ হয়। ভরসন্ধ্যায় ফুল বিক্রির বাজার মেলে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা আসেন গোলাপ কিনতে। দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের জন্য ফুল চাষিরা গড়ে তুলেছেন নিরাপত্তাবলয়। ইচ্ছা হলে একটা বিকাল কাটিয়ে আসতে পারেন পুরো পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে গোলাপ গ্রামে। এ গ্রামে গোলাপের এক স্টিকের দাম ২ টাকা। অথচ অন্য জায়গায় নেবে ১০ টাকা। আর গোলাপের তোড়া বা আঁটির দাম ১০ টাকা। অন্য জায়গায় নেবে ১০০ টাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর