শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

ভেনেজুয়েলার পাখিফুল বাংলাদেশে

মোস্তফা কাজল

ভেনেজুয়েলার পাখিফুল বাংলাদেশে

ভেনেজুয়েলার লাল-সবুজের পাখিফুল বাংলাদেশে সবার মন কেড়ে নিয়েছে। আমাদের দেশে বসন্তকালে হাতেগোনা যে কটি ফুল চারপাশ আলোকিত করে ফোটে, পাখিফুল তাদের অন্যতম। লাল-সবুজ রঙের কারণে দুর্লভ এ ফুলটি আমাদের জাতীয় পতাকার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। পাখির লেজের মতো ঝুলে থাকে বলে এটি পাখিফুল হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। এই ফুলের জন্মস্থান ভেনেজুয়েলায়। প্রচলিত নাম রোজ অব ভেনেজুয়েলা। প্রজাতিটি গায়ানা, ভেনেজুয়েলা, ব্রাজিল এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর স্থানীয় ফুল। বর্তমানে জাপান, মরিশাস ও সেশেলসহ অন্যান্য দেশে চাষ করা হয়। বাংলাদেশেও বাণিজ্যিকভাবে চাষের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। রাজধানীর উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। বন বিভাগের তথ্য মতে, এ ফুল দেখতে অনেক সুন্দর। বাণিজ্যিকভাবে চাষ হলে লাভবান হওয়া যাবে। এ ফুলের চাষ অল্প পুঁজিতে করা যায়। বাংলায় এ ফুলটিকে কেউ কেউ ডাকে সুপ্তি, আবার কারও কারও কাছে এর নাম পারিজাত। মান্দার ফুলের পোশাকি নাম পারিজাত। সেই অর্থে পারিজাতও স্বীকৃত নাম এবং তা কেবল মান্দারের আরেকটি নাম হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। মাঝারি আকৃতির চিরসবুজ গাছটি পাঁচ-সাত মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। বসন্তকালে ফুল ফোটে। গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে ফোটা এ ফুল সারা গাছে লাল-সবুজ রঙে ছেয়ে যায়। ফুলটিকে দেখলে আমাদের জাতীয় পতাকার কথা মনে পড়ে যায়। এ ছাড়া দূর থেকে দেখলে মনে হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ফুলসহ গাছটিকে। দুর্লভ এ ফুলের সবচেয়ে পুরনো গাছটি আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন চত্বরে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার আদিনাথ মন্দির প্রাঙ্গণ, রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-ময়মনসিংহের বোটানিক্যাল গার্ডেন, চট্টগ্রামের বৌদ্ধ বিহার ও নাটোরের উত্তরা গণভবনের প্রবেশপথে রয়েছে শোভাবর্ধক হিসেবে আছে এ গাছ।

সর্বশেষ খবর