খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি ইউনিয়নের দুর্গম কুকিছড়া এলাকায় রাতের আঁধারে বৌদ্ধবিহার ও বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার গভীর রাতে দুষ্কৃতকারীরা বিহারের ঘর ভেঙে ঘরের বিভিন্ন অংশ ও তৈরি বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর করে। জানা গেছে, এ সময় বৌদ্ধবিহারে কোনো ভিক্ষু বা লোকজন ছিল না। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমার ঠিক আগের দিন এ ধরনের ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিহার ও বুদ্ধমূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে গতকাল গুইমারা রামসু বাজার এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি গুইমারা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি গুইমারা সেনা রিজিয়নের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে মিছিলকারীরা গুইমারা ব্রিজের ওপর যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন গুইমারা দেওয়ানপাড়া মিশন বৌদ্ধবিহারের ভিক্ষু জ্যোতিসারা ভান্তে। বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করার দাবি জানান। জানা গেছে, এ জায়গাটিতে ধর্মীয় উপাসনালয় (বৌদ্ধ মন্দির) নির্মাণে উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গুইমারা উপজেলা ইউএনও পংকজ বড়ুয়া এ প্রতিবেদককে জানান, ওই জায়গায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা তা উপেক্ষা করে বৌদ্ধবিহারসহ মূর্তি প্রতিস্থাপন করে। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানান তিনি। মাটিরাঙ্গা সেনাজোন অধিনায়ক লে. কর্নেল নওরোজ, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান উশ্যেপ্রু মারমা, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রশাসনের র্কমর্কতারা এ ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা হবে বলে এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করে, শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। গুইমারা থানার ওসি মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে তবে এ ঘটনায় কেউ মামলা করেনি এবং এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।