শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
গাইলেন রুনা লায়লা

সুরে মাতোয়ারা আর্মি স্টেডিয়াম

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সুরে মাতোয়ারা আর্মি স্টেডিয়াম

পোশাক হচ্ছে সভ্যতার অংশ। আর পোশাকের সেই সভ্যতার সঙ্গে এদেশের ঐতিহ্য আর আবহমান বাংলাকে তুলে ধরেছে আড়ং। বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের মানসম্পন্ন পোশাকের মধ্য দিয়ে রুচিশীল মানুষদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর পথচলার চল্লিশ বছর পার করেছে আড়ং। ৪০ বছর পূর্তি উদযাপনে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে তিন দিনের উৎসবের আয়োজন করেছে দেশের অন্যতম সেরা এই ব্র্যান্ড। পুরস্কার প্রদান, আলোচনা, ফ্যাশন-শো, কারুশিল্পের প্রদর্শনী, কনসার্ট ইত্যাদি নানা আয়োজন থাকছে উৎসবে। আনন্দযজ্ঞে আবহমান বাংলাকেই তুলে ধরেছে আড়ং। গতকাল রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয় আনন্দযজ্ঞের তিন দিনের আয়োজন। হেমন্তের নীলাকাশে শান্তির প্রতীক চল্লিশটি সাদা পায়রা উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাকের সিনিয়র পরিচালক তামারা হাসান আবেদ। উদ্বোধনপর্ব শেষে মাঠে স্থাপিত কারুশিল্প প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। এরপর সন্ধ্যায় উদ্যোক্তা, হস্ত ও কারুশিল্পীসহ চল্লিশজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় শিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গীতাসর। রাত প্রায় ৮টা থেকে টানা এক ঘণ্টা নিজের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করে দর্শক মাতিয়ে রাখেন রুনা লায়লা। এ ছাড়াও গান গেয়ে শোনান  লোকসংগীত শিল্পী শাহজাহান মুনসি। মঞ্চে আলোচনা আর গানের পাশাপাশি স্টেডিয়ামের দক্ষিণ প্রান্তে ছন, বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি সারিবদ্ধ ১১টি কুঁড়েঘরে শোভা পাচ্ছে ১১ রকমের হস্ত ও কারুশিল্প। জামদানি, সিল্ক, মৃিশল্প, কাঠখোদাই, গয়নাশিল্প, বাঁশজাত শিল্প, রিকশা পেইন্টিং, ব্লক পেইন্টিং, ন্যাচারাল ডাইং, সূচিশিল্প, নকশিকাঁথা, কার্পেট বয়নশিল্পের আলাদা আলাদা প্রদর্শনীতে সেসব পণ্য তৈরির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের হস্ত ও কারুশিল্পকে তুলে ধরার পাশাপাশি বর্ণিল আয়োজনে যেন আবহমান বাংলার ঐতিহ্যই মূর্ত করে তোলা হয়েছে এ  আয়োজনে।

আজ শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় থাকছে ফ্যাশন শো। কাল শনিবার শেষ দিনের কনসার্টে স্টেডিয়াম মাতাবেন নগরবাউলখ্যাত জেমস। সেই সঙ্গে থাকবে জলের গান, নেমেসিসসহ খ্যাতনামা ব্যান্ডদলের পরিবেশনা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আড়ং। গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশের আবহমান ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক ফ্যাশনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে নিজেকে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্তমানে আড়ংয়ের সঙ্গে সরাসরি কাজ করছেন ৬৫ হাজারেরও বেশি কারু ও হস্তশিল্পী। তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি হচ্ছে দেশজুড়ে আড়ংয়ের ২১টি আউটলেটে।

সর্বশেষ খবর