তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী সোমবার শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে পাঁচ  বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ও ডা. জাফরুল্লাহর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. মাসুদ রানা, এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটির ওপর শুনানির কথা ছিল। কিন্তু শুনানি না করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে জানান, ‘আমরা হাই কোর্টের জামিন আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। এখন এ বিষয়ে নিয়মিত আপিল করতে চাই তাই আবেদনটি আজ শুনানির জন্য নট টু ডে (আজ নয়) আদেশ দিন।’ এরপর আদালত নট টু ডে আদেশ দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটির শুনানি পিছিয়ে ২৯ অক্টোবর নির্ধারণ করে। এর আগে ১৬ অক্টোবর টকশোয় মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এ ঘটনায় ২১ অক্টোবর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মাসুদা ভাট্টি ও জামালপুর আদালতে যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন লিটা ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলায় আদালত পৃথকভাবে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এ আদেশের পর ওইদিনই হাই কোর্টে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন মইনুল হোসেন। পরে সে জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এদিকে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি মামলা হয়েছে। তবে রংপুরে দায়ের করা মামলায় ২২ অক্টোবর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগে ২৩ অক্টোবর রাতে নাসির আহম্মেদ, ২১ অক্টোবর রাতে সেলিম আহম্মেদ, ১৯ অক্টোবর রাতে হাসান ইমাম ও ১৫ অক্টোবর রাতে মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ আলী পৃথক চারটি মামলা করেন। তবে ১৫, ১৯ ও ২১ অক্টোবরের মামলায় তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। এর মধ্যে একটি মামলায় জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।