শিরোনাম
রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণস্বাস্থ্যে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাজনৈতিক কারণে ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক নয় : কাদের সিদ্দিকী

সাভার প্রতিনিধি

আশুলিয়ার মির্জানগরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পিএইচএ ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসভবন, ছাত্রী হোস্টেল ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসেও হামলা চালানো হয়। এ সময় গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো লিমন হোসেনকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে হামলার ঘটনার পর শনিবার সকাল থেকে সম্মেলন কেন্দ্রসহ আশপাশের এলাকায় দ্য কটন টেকটাইল ক্র্যাফট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে হামলা করে সন্ত্রাসীরা সম্মেলন কেন্দ্রে প্রবেশপথের মূল ফটক ভেঙে ফেলেছিল। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মাছ, ফল চুরি ও জমি দখলের অভিযোগে গত বুধবার আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছিল। এদিকে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হামলার প্রতিবাদে দুপুরে মানববন্ধন করে। এ সময় ভবনে ভাঙচুর, মূল্যবান মালামাল লুট, হোস্টেলে থাকা নারী শিক্ষার্থীদের মারধর ও গাছপালা কেটে ফেলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানায় শিক্ষাথী ও শিক্ষকরা। হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি ঐক্যফ্রন্টে আছি এটাই হামলার একমাত্র কারণ। আমাকে তারা অন্য কোনোভাবে শাস্তি দিতে পারে না, জব্দ করতে পারে না, তাই এই হামলা হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনই এই হামলার পেছনে ছিল। হামলার সময় কাছেই পুলিশ ছিল। তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা নিয়ে নানা অজুহাত দেখানো হচ্ছে। আগামী ১৫ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই সম্মেলন কেন্দ্রে জনস্বাস্থ্য নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজনৈতিক কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক নয় : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। যে যাই বলুক রাজনৈতিক কারণে এ প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করা ঠিক নয়। গতকাল দুপুরে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে ভাঙচুর, লুটপাট, মারধরসহ নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এবং আহত শিক্ষার্থী লিমনকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করে আমি খুবই মর্মাহত। এখানে মেয়েদের যে আকুতি শুনলাম, স্বাধীন দেশে মেয়েরা এমন অসহায় হবে এটা ভাবা যায় না। এখানে যদি কোনো বিরোধ থাকে তা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেত। যারা এ গাছগুলো কেটেছে তাদের কমপক্ষে ১২ বছরের জেল হওয়া উচিত। কাদের সিদ্দিকী গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে গিয়ে আহত লিমনসহ অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসময় তার সঙ্গে ডা. নাজিম উদ্দিনসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমন হোসেন শুক্রবার রাতে বলেন, ‘আমি নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই। সেই ভাবনা থেকে নারী হোস্টেলে হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। এ জন্যই ওরা আমার হাত ভেঙে দিয়েছে।’

সর্বশেষ খবর