রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পাহাড়ে কলা মেলে বছরজুড়ে

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে কলা মেলে বছরজুড়ে

পাহাড়ের বুকজুড়ে সাজানো কলাবাগান। সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলে থাকা কাঁচা-পাকা কলার প্রতি আকর্ষণ সবার। এসব কলা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও মজাদার। পাহাড়ি এলাকায় কলার চাষাবাদ হয় বছরজুড়ে। জুম চাষের পাশাপাশি কলার চাষও পাহাড়িদের আদিম পেশা। পার্বত্যাঞ্চলে ১২ মাসই কলা চাষ হয়। তাই পাহাড়ে কলা মেলে বছরজুড়ে সব মৌসুমে। স্থানীয়দের কলা চাষে সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ফলে কলার ফলন বেড়েছে আগের চেয়ে অধিক। তবে বাজারজাতের পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির ১০টি উপজেলা মিলে চলতি বছর কলা চাষ হয়েছে ২০.৮৪ হেক্টর জমিতে। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ১৩০। জেলা সদর, বরকল, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর, লংগদু, জুরাছড়ি, কাপ্তাই, কাউখালী, বাঘাইছড়ি উপজেলা ও সাজেক ইউনিয়নে কলা চাষের খ্যাতি অনেক। সারা বছর এসব উপজেলায় বাংলা, আনাজি, সবরি, চাম্পা, বরি, সাগর, সূর্যমুখী ও নেপালি কলার বাম্পার ফলন হয়। একইভাবে অপর দুই পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানেও কলা ব্যাপক উৎপাদন হয়। এসব পাহাড়ি কলা প্রত্যন্ত উপজেলা থেকে লঞ্চ ও ক্যান্ট্রি বোটে করে নিয়ে আসা হয় রাঙামাটি শহরে। পরে জিপ, ট্রাক, পিকআপে বোঝাই করে জেলা শহর ও চট্টগ্রামসহ বাইরে নিয়ে যান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া সাপ্তাহিক কলার হাট বসে রাঙামাটিতে। প্রতি হাটে বিক্রির জন্য কলা নিয়ে যান রাঙামাটি সদরের কুতুবছড়ি, বন্দুকভাঙ্গা, বালুখালী, সাপছড়ি, কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া, নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচর, সাবেক্ষ্যং এবং খাগড়াছড়ি মহালছড়ি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কলা চাষি। এসব কলার ছড়ি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ১০০-৫০০ টাকা। এসব কলার চাহিদা সমতলে বেশি। সাপ্তাহিক হাটের দিন বেচাকেনা হয় লাখ লাখ টাকার কলা। রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শান্তিময় চাকমা জানান, পাহাড়ে এখন আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তিতে কলার চাষ হচ্ছে। তাই কলার উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু কলা সংরক্ষণে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় চাষিরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। হিমাগার স্থাপনের মাধ্যমে কলা চাষের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান। এমনটাই আশা কৃষিবিদদের।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর