বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি

নাগলিঙ্গম ফুল সুগন্ধি শিল্পের আরেক উৎস

শেকৃবি সংবাদদাতা

নাগলিঙ্গম ফুল সুগন্ধি শিল্পের আরেক উৎস

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ওয়াজেদ মিয়া গবেষণাগারের সামনে বিশালাকৃতির কয়েকটি গাছ। গাছের চোখজুড়ানো রঙের ফুলগুলো থেকে ভেসে আসে মনকাড়া সুবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী তো বটেই ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা অনেকেরই খুব পছন্দের এই ফুলগুলো। নাগলিঙ্গমের সঠিক পরিচর্যা দেশে উন্মোচিত করতে পারে সুগন্ধী শিল্পের নতুন সম্ভাবনা।

পরিচিত ‘নাগলিঙ্গম’ নামে, ইংরেজিতে  ‘ক্যাননবল ট্রি’ যার বৈজ্ঞানিক নাম Couroupita guianensis। সাপের ফনার মতো দেখতে ছয় পাপড়িবিশিষ্ট ফুলটি গ্রীষ্ম ও বর্ষা ঋতুতে ফোটে। ঢাকার বলধা গার্ডেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমিদারবাড়ি, মৌলভীবাজারের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও শেকৃবি ক্যাম্পাস মিলে দেশে নাগলিঙ্গম গাছ এখন ৩৫টির মতো। এর মধ্যে শেকৃবি ক্যাম্পাসেই রয়েছে সাতটি। ৮০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হওয়া এই গাছটির ফল থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বীজ সংগ্রহ করে তা রোপণ করতে হয় বলে জানান, শেকৃবি উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ফ ম জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, বীজ থেকে গাছ হতে এক মাস সময় লাগে। মোটামুটি একটা গাছ হতে সময় লাগে পাঁচ বছরের মতো আর নাগলিঙ্গমের ফুল দেখতে অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ১০ বছর।

 দেশে নাগলিঙ্গমের সম্ভাবনা ও সম্প্রসারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি গবেষক ড. জামাল জানান, উন্নত বিশ্বে দুর্লভ ফুল থেকেই বিখ্যাত সব পারফিউম তৈরি হয়। এক্ষেত্রে সুগন্ধী শিল্পে আমাদের দেশে নাগলিঙ্গমের সম্ভাবনা অনেক বেশি। সম্প্রতি অনেক দেশেই নাগলিঙ্গম থেকে পারফিউম তৈরি হচ্ছে। নাগলিঙ্গমের ফলগুলো দেশীয় বেলের মতো গোল ও কিছুটা বড়, যা হাতির বেশ প্রিয় খাবার। আমরা এর বিস্তার ঘটাতে বিভাগীয় নিজস্ব ল্যাবে প্রতি বছরই নতুন চারা উৎপাদন করছি। গত বছর ২০০-এর বেশি চারা উৎপাদন করা হয়েছে যা গ্রিন বাংলাদেশ সোসাইটির মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর