আগামী সংসদ নির্বাচনে সব ধরনের কর ও ভ্যাট হার কমানোর অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে দেখতে চান এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেছেন, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করহার বাংলাদেশে। কিন্তু আগামীতে যদি করহার কমানো হয়, তাহলে মানুষ আরও বেশি কর দিতে উৎসাহিত হবেন। আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে নিজের প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, আগামী নির্বাচনে যে দলেরই জয় হোক না কেন, তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সব ধরনের করহার কমিয়ে অর্ধেক করার অঙ্গীকার থাকতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ—আইবিসিসিআই’র এই সভাপতি ভ্যাটের হারও কমানোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করে বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীদের কথা সুবিবেচনা করে প্রচলিত প্যাকেজ ভ্যাট আগামীতেও অব্যাহত রাখতে হবে। একই সঙ্গে চার স্তরের ভ্যাট ব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে। স্থানীয় শিল্প সুরক্ষার জন্য আরও বেশি প্রণোদনা দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মতো বাংলাদেশেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নগদ প্রণোদনা দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রণোদনার হার হতে পারে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। নিটল-নিলয় গ্রুপের এই চেয়ারম্যান বলেন, নতুন রপ্তানিকারকদের, তাদের বাজার সম্প্রসারণ ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে ৩ শতাংশ সুদে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা দিতে হবে। এর সঙ্গে সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্প, প্লাস্টিকশিল্প ও ওষুধশিল্পসহ অন্যান্য বিকাশমান খাতের জন্য তৈরি পোশাকশিল্পের মতোই সব সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সব মিলিয়ে রপ্তানি সুবিধা বাড়াতে হবে। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, আগামী নির্বাচনের সব রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে অর্থ পাচার বন্ধের উদ্যোগ চাই। এক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধকরণের সহজ সুবিধা দেওয়ার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি চাই। অর্থাৎ বিদেশে যাতে কোনোভাবেই অর্থ পাচার না হয়ে, দেশের শিল্প খাতে বিনিয়োগ হয়, সেই ব্যবস্থা নির্বাচিত সরকারকে করতেই হবে। এক্ষেত্রে ওই অর্থ নিয়ে কোনো সংস্থা আর প্রশ্ন করবে না, সেই নিশ্চয়তাও থাকতে হবে।