শিরোনাম
রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

লাকসামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার লাকসামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও পিকআপ ভ্যানযোগে মালামাল লুট করার অভিযোগ উঠেছে।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্র বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আজগরা ইউনিয়নের চরবাড়িয়া গ্রামে দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ছাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশে তুলে দেওয়ার অভিযোগ          করছেন তার স্বজনরা। সূত্র জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মসম্পাদক আমান উল্লাহ আমান লাকসাম পৌরশহরসংলগ্ন নরপাটি বাজারে চা খাচ্ছিলেন। তখন স্থানীয় ছাত্রলীগের ২০-২৫ জনের একটি দল তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখে। পরে লাকসাম থানায় খবর দিয়ে আমানকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়। এদিকে লাকসাম পৌর সদরের জগন্নাথবাড়ি এলাকায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ গোবিন্দপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কালামকে আটক করে বেদম মারধর করে। এরপর তাকে দৌলতগঞ্জ গরুবাজার এলাকায় গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। আজগরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী আবদুস সালাম, বিএনপি নেতার স্ত্রী উম্মে কুলসুম অভিযোগ করেন, তাদের বাড়ি সাফিয়া মঞ্জিলে রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালান ওই ইউপির চেয়ারম্যান রুহুল আমিনের নেতৃত্বে আবুল মেম্বার, যুবলীগ নেতা সোহাগ, জসীম, ছাত্রলীগ নেতা জামসেদ, বিলালসহ ৪৫-৫০ জনের একটি দল। তারা হামলা চালিয়ে আলমারি, স্যুটকেস, টিভি, সোফা ও ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তারা নগদ ৩০ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এদিকে অভিযুক্ত আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। লাকসাম উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক পৌর মেয়র মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘শুক্রবার যুবলীগ-ছাত্রলীগ কোথাও হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই। আমরা এখন সবাই উৎসবের আমেজে নির্বাচনের কাজ করছি। বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ইস্যু তৈরির জন্যই এমন মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলছে।’ লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ কুমার দে জানান, ‘সাবেক ছাত্রদল নেতা আমান এলাকায় মারামারি করছিলেন। স্থানীয়রা ধরে তাকে পুলিশে দেয়। থানায় এনে রাতে আমরা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। অন্য কোনো স্থানে হামলা ও ভাঙচুর ঘটনার অভিযোগ পুলিশ পায়নি।’

সর্বশেষ খবর