বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ধানের শীষ নিয়ে যে ২৫ আসনে লড়বে জামায়াত

স্বতন্ত্রভাবে জমা আরও ২৫

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০-দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এসব প্রার্থী বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে লড়াই করবেন। সূত্র জানায়, জোটগতভাবে জামায়াতকে ছাড় দেওয়া ২৫টি আসনের মনোনয়ন দাখিল করেছে জামায়াত প্রার্থীরা। এ ছাড়াও আরও অন্তত ২৫টি আসনে স্বতন্ত্রভাবে ভোট করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে তারা। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুল হালিম বলেন, ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমানকে ২০ দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পিরোজপুর-১-এ শামীম সাঈদী, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ড. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরসহ সারা দেশে ২৫টি আসনে জামায়াতে ইসলামীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াত কোন প্রতীকে নির্বাচন করবে জানতে চাইলে নির্বাহী পরিষদের এই সদস্য বলেন, ‘যেহেতু আদালতের রায়ে আমাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেক্ষেত্রে জোটের প্রধান দল বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেব আমরা। আবদুল হালিম বলেন, ‘২৫টি আসনের প্রায় সবকটিতে আগে আমাদের প্রার্থী একাধিকবার বিজয়ী হয়েছেন।’ ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন— আবদুল হাকিম (ঠাকুরগাঁও-২), মোহাম্মদ হানিফ (দিনাজপুর-১), আনোয়ারুল ইসলাম (দিনাজপুর-৬), মনিরুজ্জামান মন্টু (নীলফামারী-২), আজিজুল ইসলাম (নীলফামারী-৩), গোলাম রব্বানী (রংপুর-৫), মাজেদুর রহমান সরকার (গাইবান্ধা-১), রফিকুল ইসলাম খান (সিরাজগঞ্জ-৪), ইকবাল হুসেইন (পাবনা-৫), মতিউর রহমান (ঝিনাইদহ-৩), সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের (কুমিল্লা-১১), হামিদুর রহমান আজাদ (কক্সবাজার-২), শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৫), আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন (যশোর-২), আবদুল ওয়াদুদ (বাগেরহাট-৩), আবদুল আলিম (বাগেরহাট-৪), মিয়া গোলাম পরওয়ার (খুলনা-৫), আবুল কালাম আযাদ (খুলনা-৬), রবিউল বাশার (সাতক্ষীরা-৩), আবদুল খালেক (সাতক্ষীরা-২), গাজী নজরুল ইসলাম (সাতক্ষীরা-৪), শামীম সাঈদী (পিরোজপুর-১), ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (সিলেট-৫), হাবিবুর রহমান (সিলেট-৬) ও শফিকুর রহমান (ঢাকা-১৫)। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে ভোট করার জন্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পটুয়াখালী-২, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী-১, অধ্যাপক মাজেদুর রহমান রাজশাহী-৩, নুরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, জহিরুল ইসলাম চট্টগ্রাম-৯, আ ফ ম সোলায়মান চৌধুরী কুমিল্লা-২, আমিনুল ইসলাম মৌলভিবাজার-৯, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ময়মনসিংহ-৫, তায়েব আলী বগুড়া-৩, শাহাদাতুজ্জামান বগুড়া-৬, গাজী এনামুল হক যশোর-৫, জয়পুরহাট-১ ডা. ফজলুর রহমান সাঈদ, নাটোর-৪ অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, মাওলানা আমিনুল ইসলাম মৌলভিবাজার-৩, অ্যাডভোকেট মাওলানা রুহল আমিন চুয়াডাঙ্গা-২। এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাই কোর্ট। গত ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই দল হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ নেই জামায়াতের। তবে জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কিংবা নিবন্ধিত অন্য কোনো দলের প্রার্থী হয়ে সেই দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ বিষয়ে ৯ নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, অনিবন্ধিত কোনো দল নিবন্ধিত কোনো দলের সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচন করতে চাইলে ইসির কিছু করার থাকবে না। ফলে জামায়াত নেতাদের নির্বাচনে কোনো বাধা নেই।

সর্বশেষ খবর