বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সবার ইশতেহারেই ভালো কথা আছে

—এ কে আজাদ

সবার ইশতেহারেই ভালো কথা আছে

এবার নির্বাচনে সবার ইশতেহারেই ভালো ভালো কথা আছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি নির্বাচনের পর দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে সব ভালো কথার ভালো বাস্তবায়নও দেখতে চান। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে রাজনৈতিক দলগুলোর  ইশতেহার নিয়ে নিজের পর্যালোচনার কথা তুলে ধরে এ কথা বলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে- একশত অর্থনৈতিক অঞ্চলে। বাকি কর্মংসংস্থান অন্যান্য খাতে করা হবে।

আওয়ামী লীগের ইশতেহারের বিভিন্ন ইতিবাচক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, হানাহানি, জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসন্ত্রাস, অবরোধ-বিশৃঙ্খলার রাজনীতি বন্ধের কথা বলা হয়েছে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার আছে। আওয়ামী লীগ বলছে, জনগণের রায়ে আবার ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশ থেকে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, সাম্প্রদায়িকতা ও দুর্নীতি নির্মূল করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে সুসংহত করবে, যা দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার কথা উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, আশা করছি আগামীতে ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য থাকবে না। কারণ সংসদ নির্বাচনের পর ক্ষমতা গেলে দেশের ব্যাংক খাতের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  তিনি বলেছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান তদারকি ও নিয়ন্ত্রণ অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করা হবে। ঋণসহ ব্যাংক জালিয়াতি কঠোর হস্তে দমন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঋণ গ্রাহক ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার এবং দেউলিয়া আইন বাস্তবায়নে টেকসই ও কার্যকর পদ্ধতি নির্ণয় করা হবে। বাজার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিচক্ষণতার সঙ্গে নির্দিষ্ট পদ্ধতি ব্যবহার করে সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ঋণ অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ে দক্ষতা এবং গ্রাহকের প্রতি ব্যাংকের দায়বদ্ধতা পরিবীক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদক্ষেপ নেবে। এফবিসিসিআইর সাবেক এই সভাপতি বিএনপির ইশতেহারের কথা তুলে ধরে বলেন, চাকরিতে বয়সসীমা থাকবে না। দেশে সুশাসন আসবে। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা রাখা হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিএনপি।

সর্বশেষ খবর