বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

হঠাৎ বৃষ্টি ও শীতে অসুস্থ শিশু-বৃদ্ধরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

হঠাৎ বৃষ্টি ও শীতে অসুস্থ শিশু-বৃদ্ধরা

শীতের দাপট। গতকাল তোলা ছবি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

আবহাওয়ার পারদ নিচের দিকে নামতেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে শীতজনিত রোগ। শুষ্কতার কারণে বাতাসে বাড়ছে ধুলার পরিমাণ। এর ফলে শীতবাহিত রোগ জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়ার সঙ্গে অ্যাজমা এবং হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এতে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু এবং বৃদ্ধরা।

চিকিৎসকরা জানান, রাজধানীতে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ক্রনিক ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকেই আসছে জ্বর এবং গলা ব্যথা নিয়ে। এর মধ্যে শিশুদের একটি বড় অংশ রয়েছে। ডিসেম্বরের শীতে হৃদরোগে আক্রান্তদের সংখ্যাও বাড়ছে। তারা জানান, শীতে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ার জেরে গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। ফলে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আরও বেড়েছে। নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শুকনো কাশির সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। তার উপরে বৃষ্টির জেরে হাঁপানি রোগীদের সমস্যা বাড়ছে। কম বয়সীদের মধ্যেও বিপুল হারে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তফা হোসেন বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়েছে। শিশুদের জ্বর ও নিউমোনিয়া বেশি হচ্ছে। মাঝ বয়সী রোগীদের অধিকাংশ আসছেন গলায় ইনফেকশন ও অ্যাজমা নিয়ে। শীতে রাস্তায় ধুলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এসব রোগীর বিপদ আরও বাড়ে। দুই দিনের বৃষ্টিতে তবু ধুলার পরিমাণ কিছু কমেছে। তাপমাত্রা কমলে হৃদরোগীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শীতে সুস্থ থাকার বিষয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, রাস্তায় বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এতে ধুলার প্রকোপ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। ঘরে পর্যাপ্ত আলোবাতাস ঢোকার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঘর, বিছানা, মশারি এবং বিছানাপত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। এগুলোতে ধুলা জমলে বাসা বাঁধে নানা রকমের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু। এর ফলে ইনফেকশনের সমস্যা বেশি হয়। তাপমাত্রার তারতম্যের জেরে শিশুদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানান, ঋতু বদলের সময় শিশুদের ভাইরাসঘটিত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তার মধ্যে হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় সেই ঝুঁকি আরও বেড়েছে।

সর্বশেষ খবর