রবিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

দুর্লভ পাখি শেখ ফরিদ রক্ষায় অভয়ারণ্য

মোস্তফা কাজল

দুর্লভ পাখি শেখ ফরিদ রক্ষায় অভয়ারণ্য

এবার অতি দুর্লভ পাখি শেখ ফরিদ রক্ষায় অভয়ারণ্য করবে বন বিভাগ। অনেকের ধারণা ছিল বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তি ঘটেছে এ পাখিটির। কিন্তু পঞ্চগড় জেলায় দেখা পাওয়ায় এ পাখি রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সামাজিক বন বিভাগ। অনেকে অবাক হতে পারেন। আউলিয়ার নামে পাখির নাম। অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ পাখি সারাক্ষণ শেখ ফরিদ-শেখ ফরিদ নাম ধরে ডাকতে থাকে। এ কারণেই পাখির নাম হয়েছে শেখ ফরিদ। পাখিটির পোশাকি বাংলা নাম কালো তিতির। এ পাখির বংশরক্ষায় বাছাই করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজীপাড়া আর তেলিপাড়া গ্রামকে। আসছে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে কার্যক্রম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বন বিভাগ। আপাতত ৫০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। এ এলাকার সাধারণ মানুষ এ পাখির নাম দিয়েছে শেখ ফরিদ। কয়েক মাস আগের কথা। পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার অন্তর্গত ছবির মতো গ্রাম কাজীপাড়া। একটু এগোলেই ভারতের সীমানা শুরু। সীমান্তবর্তী এ গ্রামে খোঁজ মিলেছে পাখি শেখ ফরিদের। এমন খবরে অনেকে ছুটে যান সেখানে।  অতি বিপন্ন তালিকার এ পাখি ভারতের কাশ্মীর  থেকে হিমালয়ের পাদদেশে দেখা মিলে। আরও দেখা যায়,  নেপাল, ভুটান থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত। এসব অঞ্চলে এ পাখির বসবাস।

সমতলে একমাত্র বাংলাদেশেই এদের সর্বত্র দেখা যেত এক সময়। এখন পঞ্চগড়ে হয়েছে এর শেষ ঠাঁই। বছরের জুন-জুলাই মাসে  গম ও আখ ক্ষেতে ডিম পাড়ে এ পাখি। ২৫ থেকে ২৮ দিন তা দেওয়ার পর বাচ্চা হয়। পাখি বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কাজীপাড়া ঢোকার আগেই একটি চা-বাগান। তেঁতুলিয়া উপজেলা অফিস পার হলে কাজীপাড়া আর তেলিপাড়া গ্রাম। এ পাখির খোঁজ মিলেছে এ দুই গ্রামে।  শেখ ফরিদের ডাক হয় ভরা গলায়। কিন্তু মোটেও কর্কশ নয়। এ পাখির প্রধান খাবার ঘাসের বীজ ও  পোকামাকড়। পুরুষ ও স্ত্রী প্রজাতির পাখি একসঙ্গে ঘর বাঁধে। নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করে এ পাখি। এ পাখি দেখতে চড়ুই পাখির মতো। তবে আকারে বড় হয়।

সর্বশেষ খবর