একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আদালতের রায়ে বিএনপির প্রার্থী শূন্য আসনে পুনঃতফসিলের দাবির বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবর এ সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন জমা দেয়। আবেদন জমা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আখতারউজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন পুনঃতফসিলের সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, পুনঃতফসিলের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তারা আইনকানুন খতিয়ে দেখবেন। আখতারউজ্জামান বলেন, আমরা যে কারণে নির্বাচন কমিশনে এসেছি—হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম, নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের প্রচারণায় হামলা, চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী ড. আফছারুল আমীনের মিছিলে হামলা, শুক্রবার রাতে মুক্তগাছায় পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। দুঃখজনক ঘটনা হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে হিন্দুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওখানে গান পাউডার ব্যবহারের তথ্যও আমরা পেয়েছি। এই ঘটনাগুলো আমরা ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে লক্ষ্য করেছি। আমরা আশঙ্কা করছি, জগন্নাথপুরের এই ঘটনা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যখন সব রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার পর্যালোচনা করে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যখন আশ্বস্ত হয়েছে, তখন সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ড. সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কিছু কিছু আসনে বিএনপির প্রার্থিদের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, বিএনপি ওইসব আসনে পুনঃতফসিলের আবেদন করেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কিত মূল আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) বিধানের আওতায় ওইসব আসনে পুনঃতফসিলের কোনো সুযোগ নেই। সুপ্রিম কোর্টের আদেশেও ওই সব আসনে পুনঃতফসিলের কোনো নির্দেশনা নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ধরনের পুনঃতফসিলের জন্য বিএনপির আবেদনের জোরালোভাবে বিরোধিতা করেছি।