সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের মাঠ সরগরম

সোহরাওয়ার্দীতে জনসভাসহ বিভিন্ন দাবি ঐক্যফ্রন্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে পুলিশি অনুমতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার  (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গত রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম খান লিখিত আবেদনে বলেন, সব জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ পর্যায়ে রাজধানীসহ সব শহর, নির্বাচনী এলাকার উল্লেখ্যযোগ্য স্থানে জনসভা করা নির্বাচনী প্রচারণার অনিবার্য অংশ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকার পুলিশ কমিশনার বরাবর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু গত রাতে পুলিশ কমিশনারের পক্ষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির বিজভীকে ফোন করে জানানো হয়, ২৪ ডিসেম্বরের পর ঢাকায় কোনো জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশের এ সিদ্ধান্ত নির্বাচনী আইন আরপিও’র সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার যৌক্তিক ও আইনানুগ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার শামিল। আমরা যাতে ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করতে পারি সে মর্মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও আস্থার প্রতীক। বিশ্বের বহু দেশে শান্তি স্থাপনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সুনাম অর্জন করেছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এবং নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) বাহারকে পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও বিএনপি নেতা-কর্মীদেরই আটক করেছে। এটা দুঃখজনক ঘটনা। নোয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী মো. শাহজাহান চরজব্বার এলাকায় গেলে আওয়ামী লীগ হামলা করে। আটক করা হয় বিএনপির প্রার্থীদেরই। এ ছাড়াও কুমিল্লার মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, দেবীদ্বার ও ফরিদপুরের সালথা থানা পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি গ্রেফতার করছে। এ জন্য তাদের প্রত্যাহার দাবি করেছে ঐক্যফ্রন্ট।

বই উৎসব নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের আপত্তি : এবারের বই উৎসব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটটির দাবি ১ জানুয়ারির পরিবর্তে নির্বাচনের আগে আজ ২৪ ডিসেম্বর এটি করায় তা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। ১ জানুয়ারির পরিবর্তে নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে ২৪ ডিসেম্বর বই উৎসব করা আচরণবিধি লঙ্ঘন উল্লেখ করে তা বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিটি সিইসির দফতরে জমা দেন গণফোরামের দফতর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

সর্বশেষ খবর