জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আসাদুল্লাহকে (২৫) তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ রিমান্ডের এ আদেশ মঞ্জুর করেন। এর আগে বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ওই হত্যাকান্ডে আসাদুল্লাহ সরাসরি অংশ নেয়। তার সাংগঠনিক নাম ফখরুল ওরফে ফয়সাল ওরফে জাকির ওরফে সাদিক। মঙ্গলবার রাতে তাকে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করা হয়। জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু তনয়কে হত্যার পর এর দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। তিনি বলেন, হত্যার রহস্য উদঘাটন হতে থাকে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। এর মধ্যে আসাদুল্লাহ ছিল অন্যতম। প্রাপ্ত তথ্যে হত্যাকাে র দিন ঘটনাস্থলে ছিল ৭ জন। যার মধ্যে পাঁচজন ছিল কিলার গ্রুপের এবং বাকি দুজন ছিল ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের। এখন পর্যন্ত সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিলার গ্রুপের দুজন হলো- আসাদুল্লাহ এবং আগে গ্রেফতার হওয়া আরাফাত। বাকি দুজন ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের যাবের ওরফে জুবায়ের ও সায়মন। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর বাসায় ঢুকে সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটার কর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার রাতেই জুলহাসের ভাই মিনহাজ মান্নান অজ্ঞাত পরিচয় ৫-৬ জনকে আসামি করে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।